ঈশ্বরগঞ্জে বাকির টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে প্রাণ গেল-দোখানির। ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জে এই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে। এতে এক মুদি দোকানি নিহত হয়।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে গুরুতর আহতাবস্থায় ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। নিহত ওই দোকানির নাম আজিজুল হক (৩৯)। তিনি উপজেলার তারুন্দিয়া ইউনিয়নের পুনাইল গ্রামের আছর উদ্দিনের ছেলে। কৃষি কাজের পাশাপাশি নিজের বাড়ির সামনে মুদি দোকান করে সংসার চালাতেন তিনি।
স্থানীয়রা জানায়, আজিজুলের ভাতিজা শাহ আলমের একটি মুদি দোকান রয়েছে শাহ আলমের দোকান থেকে বাকি জিনিসপত্র নিয়ে টাকা দিচ্ছিলেন না সাখুয়া গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের ছেলে সোয়াইব আহমেদ সোহেল। ৪ হাজার টাকা নিয়ে গত দেড় বছর ধরে টালবাহানা শুরু করলে টাকা ফেরতের দায়িত্ব নেন সোহেলের চাচাতো ভাই শামছুল হক সবুজ। শুক্রবার বিকেলে শাহ আলমকে টাকা দেওয়ার কথা ছিলো সবুজের। শুক্রবার ইফতারের পূর্ব মুহূর্তে সবুজ ভারতী বাজারে গেলে টাকা চান শাহ আলম। টাকা চাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন সবুজ। এ নিয়ে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে দুই পক্ষের লোকজন জড়ো হয় বাজারে। সবুজদের লোকজন শাহ আলমের চাচা ইউনিয়নটির চেয়ারম্যান প্রার্থী মহিউদ্দিন আজাদ মানিকের ওপর হামলা করে। মাথায় আঘাত করলে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মানিক। পরে সবুজদের পক্ষের লোকজন হামলা চালিয়ে মানিকের চাচাতো ভাই আজিজুল হককে গুরুতর জখম করে। এসময় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান আজিজুল।
শাহ আলম জানান, গত দেড় বছর ধরে টাকা দেই দিচ্ছি বলে শুধু সময় দিচ্ছিলেন সোহেল। শুক্রবার টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে তার চাচাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মো. আবদুল কাদির মিয়া বলেন, দোকান বাকি নিয়ে বিরোধে হত্যার ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। এ নিয়ে গ্রামবাসিদের মাঝে আতঙ্ক ও উওেজনা বিরাজ করছে।