চারদিন পরেই মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। আর রমজান মাসের শেষ শুক্রবার আজ। এই ছুটির দিনেই নিজ নিজ বাড়ির দিকে ছুটছে ঘরমুখী মানুষ। এতে ভিড় বেড়েছে দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত বাংলাবাজার-শিমুলিয়া ফেরিঘাটে।
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যক্তিগত ও ভাড়া যানবাহনে গন্তব্যে পৌঁছাতে ঘাট এলাকায় জড়ো হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। তবে ঘাট ও ফেরিতে সরকারি নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধির কোনো তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। সামাজিক দূরত্ব না মেনেই গাদাগাদি করে ছুটে চলছে মানুষ।
শনিবার(৮ মে) সকালে সরেজমিনে বাংলাবাজার ঘাটে এমনই দৃশ্য দেখা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শুক্রবার সকালে ভোরের আলো ফোটার শুরু থেকে এ নৌরুটে মানুষ ও যানবাহনের ভিড় বাড়তে থাকে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘাট এলাকায় যাত্রীদের চাপ আরও বেড়ে যায়। সকাল থেকে তিনটি রো রো, ছয়টি ডাম্ব, তিনটি কে টাইপের ও তিনটি ছোট ফেরিসহ মোট ১৫টি ফেরি চলাচল করছে। এর আগে সীমিত পরিসরে ৭-৮টি ফেরি চলাচল করলেও পণ্যবাহী পরিবহন পারাপারে বাড়ানো হয়েছে ফেরির সংখ্যা।
পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে খুলনায় যাচ্ছেন মহিউদ্দিন নামে একজন। তিনি সিটি নিউজ ঢাকাকে বলেন, ‘সামনে ঈদ, তাই চাপ বাড়ার আগেই বাড়ি যাচ্ছি। সরকারের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। করোনা সংক্রমণেরও আশঙ্কা তো আছেই। তারপরও বেশি ভাড়া দিয়েই যাচ্ছি।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘যানবাহনের পাশাপাশি ঘাটে যাত্রীদের চাপও রয়েছে। মোট ১৫টি ফেরি চলছে। এই মুহূর্তে শতাধিক যানবাহন পারের অপেক্ষায় আছে।’
শিবচর থানার ওসি মিরাজ হোসেন বলেন, ‘ঘাটে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে