আজ পঁচিশে বৈশাখ, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬০তম জন্মবার্ষিকী। ১২৬৮ বঙ্গাব্দে আজকের এই দিনে কলকাতার জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের কবিগুরুর নোবেল পুরস্কার জয় বাঙলা সাহিত্যকে বিশ্বসাহিত্যের মর্যাদা এনে দেয়। বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের রচয়িতাও তিনি।
বরীন্দ্রনাথ ঠাকুর মাত্র ১৭ বছর বয়সে ইংল্যান্ডে যান ব্যারিস্টারি পড়তে। তবে পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি বরীন্দ্রনাথ। মনোনিবেশ করেন সাহিত্যকর্মে। বাংলা সাহিত্যের সব শাখায় যুগান্তকারী অবদান রাখা রবীন্দ্রনাথ কবিতা ও গানে প্রাণ ঐশ্বর্যে পূর্ণতা লাভ করেছেন বাংলার রঙ, রূপ ও গন্ধ।
৫২টি কাব্যগ্রন্থে বাঙলা জনজীবনের অনুভূতিকে প্রকাশ করেছেন ছন্দে ছন্দে। তার লেখা প্রায় দুই হাজার গানের ভান্ডার আজও ক্লান্ত হৃদয়কে প্রশান্ত করে, আলো জ্বালায় ভারাক্রান্ত সময়ে। লিখেছেন ১৩টি উপন্যাস ও ৩৬টি প্রবন্ধ, ৩৮টি নাটক ও ৯৫ টি ছোট গল্প। বাদ দেননি রঙ তুলির আচরে ছবি আঁকাও।
১৯০১ সালে পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার বোলপুরের শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মবিদ্যালয় নামের স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। যা পরবর্তীতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ নেয়।
দীর্ঘ রোগ ভোগের পর ১৯৪১ সালের ৭ই আগস্ট, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২শে শ্রাবণ মারা যান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এরপর থেকে সশরীরে না থাকলেও রবীন্দ্রনাথ রয়ে গেছেন বিশ্ব বাঙালির হৃদয়ে। আজও মহাপ্রাণ রবীন্দ্রনাথ বাঙালি সুখে, দুখে, বেদনায়, সংকটে বড় আশ্রয়। এভাবেই বাঙালির মননে থেকে যাবেন আজীবন।