মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত মহিমান্বিত রাত পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর। রোববার (৯ মে) দিবাগত রাতে প্রতিবারের মতো এবারও দেশব্যাপী ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পবিত্র শবে কদর পালন করবেন।
পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে আলোচনা, মিলাদ ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও দেশের সব মসজিদে দিন ও রাতব্যাপী বিশেষ ইবাদত-বন্দেগি, ওয়াজ মাহফিল, ধর্মীয় বয়ান ও আখেরি মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে।
শবে কদর উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেন, পবিত্র লাইলাতুল কদর মানবজাতির জন্য অত্যন্ত বরকত ও পুণ্যময় রজনী। এ রাত ‘হাজার মাসের চেয়েও উত্তম’। মুসলিম উম্মাহর কাছে শবে কদরের গুরুত্ব, তাৎপর্য ও ফজিলত অত্যধিক।
তিনি বলেন, আমরা এমন একটি সময়ে পবিত্র রমজান মাস পালন করছি, যখন বাংলাদেশসহ সারাবিশ্ব করোনাভাইরাসের সংক্রমণে বিপর্যস্ত। বিশ্বব্যাপী প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন এবং মারা যাচ্ছেন। আমি পরম করুণাময় আল্লাহর কাছে অশেষ রহমত ও বরকত কামনার পাশাপাশি দেশের অব্যাহত অগ্রগতি ও কল্যাণের জন্য প্রার্থনা জানাই। মহান আল্লাহ আমাদের মোনাজাত কবুল করুন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, লাইলাতুল কদর এক মহিমান্বিত রজনী। সিয়াম সাধনার মাসের এ রাতে মানবজাতির পথ নির্দেশক পবিত্র আল-কোরআন নাজিল হয়। পবিত্র কোরআনের শিক্ষা আমাদের পার্থিব সুখ-শান্তির পাশাপাশি আখিরাতে মুক্তির পথ দেখায়।
পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষে দেশবাসীসহ বিশ্বের সব মুসলমানকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের জনগণসহ বিশ্ববাসীকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মুক্তির জন্য দোয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
পবিত্র কদর উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন শনিবার বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পবিত্র শবে কদরের গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে। এছাড়া রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে পবিত্র শবে কদরের ফজিলত ও করণীয় শীর্ষক ওয়াজ মাহফিল, মিলাদ, কিয়াম ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।