প্রজনন ও বংশ বিস্তারের লক্ষ্যে বঙ্গোপসাগরে আজ ২০ জুলাই থেকে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত টানা ৬৫ দিন সোনালী ইলিশসহ সকল প্রজাতির মাছ ধরা বন্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
যার ফলে সমুদ্রগামী জেলেরা ট্রলার ও জালসহ মাছ ধরার সকল সরঞ্জামাদি নিয়ে নিষেধাজ্ঞা বলবৎতের আগেই উপকূলীয় মৎস্য আড়ৎগুলোতে ফিরে এসেছে।
জাতীয় মৎস্যজীবি সমিতির মোংলা উপজেলা শাখার সভাপতি বিদ্যুৎ মন্ডল বলেন, নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে সরকারের দেয়া সহায়তা আরো বাড়ানো হলে তাদের দারিদ্র্যতা দূরের পাশাপাশি জীবিকা নির্বাহ করা সহজ হতো। এ ৬৫ দিনে দুই দফায় প্রতি জেলেকে মোট ৮৬ কেজি করে চাল দেয়া হয়ে থাকে। যা তাদের পরিবারের সদস্য তুলনায় খুবই কম বলে দাবী জেলেদের। তাই সরকারের এ সহায়তা বরাদ্দ বাড়ানো দাবী তাদের।
এবারও নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে সাগরের নিবন্ধিত জেলেদের জনপ্রতি জন্য প্রথম দফায় ৪৩ কেজি এবং দ্বিতীয় দফায় আবারো ৪৩ কেজি করে চাল দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মোংলা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ৬৫ দিনের এ নিষেধাজ্ঞা গভীর সাগরের মাছ ধরা জেলেদের জন্য। তবে সুন্দরবনের নদ-নদী এই নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত। তাই জেলেরা সুন্দরবনের অভ্যন্তরের নদী-খালে মাছ ধরতে পারবেন বলেও জানান তিনি।