ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার আশ্রয়ন প্রকল্প-২ নির্মাণ কাজের গুনগত মান সরজমিন পরিদর্শন করেন ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নাসরিন সুলতানা। আজ শুক্রবার সকাল থেকে চরবেতাগৈর ইউনিয়নে নির্মিত ২০টি, শেরপুর ইউনিয়নের কোণা পাচঁরখী গ্রামে ৫টি ও লংগারপাড় গ্রামে নির্মিত ঘর সমূহ সরজমিন পরির্দশন করেন।
এসময় নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.এরশাদ উদ্দিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহফুজুল হক, চরবেতাগৈর ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফরিদ উদ্দিন, শেরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন ভুইয়া মিলটন সহ ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তাদ্বয় উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া উপকারভোগী পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় জনগণ উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শনকালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিদ্যুৎ সরবরাহ ও পানীয় জলের স্থায়ী সমাধানের নির্দেশ দেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. এরশাদ উদ্দিন বলেন, মূল প্রকল্পে বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের ব্যবস্থা নাই। তবে স্থানীয়ভাবে বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ থেকে নলকূপ বসানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ইউপি চেয়ারম্যানদ্বয় জানান, প্রকৃত ভূমিহীন ব্যাক্তিগণ ঘরের বরাদ্দ পেয়েছেন এবং তারা এ বিষয়ে প্রশাসনকে সহযোগীতা করেছেন। তারা আরো বলেন, উপকারভোগীর তালিকা ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে এবং নির্মাণকাজ চলাকালীন সময়ে তারা প্রশাসনকে সার্বিকভাবে সহযোগীতা করে যাচ্ছেন ও সম্পৃক্ত ছিলেন। উল্লেখ্য দূর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ১৫টি ঘর, গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের আওয়তায় ৪৭টি ঘর নির্মাণ সম্পন্ন করা হয়েছে। নতুন ১০টি ঘর (চরবেতাগৈর ইউনিয়ন) এর ৯৫% কাজ শেষ হয়েছে। বাকী কাজ শেষ হলে উপকারভোগীদের মাঝে ঘর বুঝিয়ে দেওয়া হবে। পরিদর্শকালে নান্দাইলের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ প্রভাষক অরবিন্দ পাল অখিল, এনামুল হক বাবুল, শামছ-ই-তাবরীজ রায়হান ও প্রভাষক মো. আমিনুল হক বুলবুল সাথে ছিলেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ঘর প্রাপ্তদের কোন সমস্যা আছে কি জানতে চাইলে, তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন দ্রুত পানীয় জলের সমস্যা মিটানোর কথা বলেন। কাজের মান নিয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের জানান, তিনি ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় নির্মিত ঘর সমুহ যাবার পথে দেখে যাবেন এবং নান্দাইলের সাথে মিল আছে কিনা তা পর্যবেক্ষন করবেন। উল্লেখ্য নান্দাইল উপজেলা পরিবেশ বান্ধব ইটের মাধ্যমে এই ঘর সমূহ নির্মাণ করা হয়েছে। যা অন্য কোন উপজেলায় হয় নাই। এক প্রশ্নের জবাবে এডিসি সাংবাদিকদের জানান, মাননীয় জেলা প্রশাসকের নির্দেশে তিনি এই পরিদর্শনে এসেছেন।