ঘুর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ ও পূর্ণিমার জোয়ার ও চন্দ্রগ্রহনের প্রভাবে ঝালকাঠির রাজাপুরে ব্যাপক হারে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বিষখালি নদীতে বেড়িবাধ না থাকায় জোয়ারের পানি ডুকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গেছে ফসলি জমি, রাস্তাঘাট, ঘর-বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ভেসে গেছে দুইশতাধিক পুকুর ও ঘেরের মাছ।
বিষখালী নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৬ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। গত দুইদিন থেকে উপজেলায় মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপজেলার বড়ইয়া, পালট, নিজামিয়া, চরপালট আবাসন, উত্তমপুর, বাদুরতলা, মানকিসুন্দর, নাপিতের হাট, ডহরশংকর, মঠবাড়ি এলাকায় জোয়ারের পানি ডুকে পরেছে। রাতের জোয়ারে পানি আরো বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কায় বেড়িবাঁধ না থাকায় বিষখালী নদীর তীরবর্তী হাজারো মানুষ এখন প্রতিটা মুহুর্ত আতঙ্কে কাটাচ্ছেন।
উপজেলা সহকারি মৎস্য কর্মকর্তা মো. মোজ্জামেল হক জানায়, পানি বৃদ্ধি কারনে দুই শতাধিক পুুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এতে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষির আশঙ্কা রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোক্তার হোসেন বলেন, যাদের ঘর-বাড়ি পানিতে ডুবে গেছে তাদেরকে আশ্রয় কেন্দ্রে রাখা এবং খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।