ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার কৈখালী বাজারে ভয়াভহ অগ্নিকান্ডে ৩০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসত ঘর পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে।
এতে প্রায় ৩কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এরমধ্যে ২৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ১০টি বসতঘর সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে এবং ১০টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট দুই ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। সোমবার সকাল সাড়ে ৭টায় দিকে উপজেলার কৈখালী বাজারে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
কৈখালী বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান খান জানান, আমার দোকানের সামনে সবুজের কসমেটিক্স এর দোকান থেকে আগুন লাগে। আগুনের ভয়াভহ তাপের কারনে কয়েকবার দোকান খোলার চেষ্টা করেও খুলতে পারিনি। দোকানে বিকাশের অনেক নগদ টাকা ও লাখ লাখ টাকার ঔষধ ও মালামাল পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে।
বাজারের খান ট্রেডার্সের মালিক মোজাম্মেল খান জানান, আগুনে আমি শেষ হয়ে গেছি। আমার তিনটি দেকান পুড়ে গেছে। হার্ডওয়ারের দোকান, গোডাউন ও ডেকারেটরের দোকান সব শেষ হয়েছে। এতে ৩০লাখ টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সর্ব প্রথমে আমি ফায়াস সার্ভিসে খবর দিয়েছি। কিন্তু যথা সময়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা না আসায় ক্ষতির পরিমান অনেক বেড়েছে। সটিক সময়ে আসলে এতো দোকান পুড়তো না।
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মোঃ ফিরোজ কুতুবী জনান, সবুজের কসমেটিক্স এর দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহুর্তের মধ্যে মন্নান খানের ফার্মেসী, মোজাম্মেল খানের হার্ডওয়ার, ডেকোরেটর ও গোডাউন, বায়জিদের বিকাশ ও কসমেটিক্সের দোকান, রাসেল ষ্টোর, মিজানের হোটেলসহ অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসতঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে কাঠালিয়া ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এবং পরে ভান্ডারিয়া ও ঝালকাঠির ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হই।
এরই মধ্যে ফার্মেসি, মুদি-মনোহরী, কসমেটিক্স, ইলেকট্রনিক্স, কম্পিউটার, ফ্লাক্সি লোড, হোটেল, আড়ৎদারি ব্যবসা ও চায়ের দোকানসহ কাঁচা-পাকা ও টিনের ২৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ১০টি বসতঘর সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিটে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এ অগ্নিকান্ডে আনুমানিক ৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা।