প্রবাদে আছে, রাখে আল্লাহ মারে কে? সাতক্ষীরার তালায় কুমারী মায়ের নবজাতকে প্রাণে বাঁচালো পুলিশ । ঘটনাটি ঘটেছে (১০জুন)বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার তৈলকুপি গ্রামে। সে ঐ গ্রামের কামরুল গাজীর মেয়ে।জনৈকা কিশোরী(১৪) কুমারী অবস্থায় অন্তঃস্বত্ত¡া হয়ে পড়লে লোক লজ্জার ভয়ে স্বজনদের সিদ্ধান্তে ঘটানো হয় অবৈধ গর্বপাত! এরপর নবজাতককে হত্যা শেষে মাটি চাপা দেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়। তবে গর্ভপাত ঘটালেও শেষ রক্ষা হয়নি কিশোরী কুমারীর স্বজনদের। অবৈধ গর্ভপাতের গোপন খবরে ঘটনাস্থলে পৌছে যায় পুলিশ। পরে নবজাতককে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন । বর্তমানে নবজাতকটি তার নানীর সাথেই সাতক্ষীরা সদর হাসপাতলেই চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সুএে জানাযায়, পাটকেলঘাটা থানার তৈলকুপির জনৈকা কিশোরী (১৪) কুমারী অবস্থায় অন্তঃসত্ত¡া হয়ে পড়লে শুরু হয় নানা গুঞ্জন। সমাজ ও লোক লজ্জার ভয়ে শেষ-মেশ কিশোরীর স্বজনদের সিদ্ধান্ত ও স্থানীয় মহিলা মেম্বর মমতাজ বেগমের নেতৃত্বে গর্ভপাত ঘটানো হয় কিশোরী কুমারীর। অবৈধ গর্ভপাতের পর নবজাতককে হত্যা শেষে মাটি চাপা দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেয় কিশোরী কুমারীর স্বজনরা।এদিকে কিশোরী কুমারীর অবৈধ গর্ভপাতের গোপন খবরের ভিত্তিতে পাটকেলঘাটা থানার এস আই সবুজ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল উপস্থিত হয়ে নবজাতকটিকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এদিকে উদ্ধারকৃত নবজাতকটির পিতৃ পরিচয় নিয়ে এওলাকায় শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জণ। নবজাতক উদ্ধারকারী পুলিশ কর্মকর্তা নবজাতকটির পিতৃ পরিচয় সম্পর্কে ভিকটিম কুমারী মাযের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী নবজাতকটির পিতা একই এলাকার শাহাবুদ্দীন বিশ্বাসের ছেলে হযরত আলী বিশ্বাস(২২)বলে জানান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত হযরত আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তাকে ফাঁসানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি কোনভাবেই নবজাতকের পিতা নন।
এব্যাপারে কথা হয় স্থানীয়দের সাথে ,তাদের প্রশ্ন আসলেই কি প্রতিবেশী হযরত আলী ঘটনার জন্য দায়ী? নাকি মূল অপরাধীকে বাঁচাতে এটা কোন নয়া কৌশল? শিশুটির পিতৃ পরিচয় নিশ্চিত হলে কোথাও কোন মামলা বা অভিযোগ না করে কেন অবৈধ গর্ভপাত ও হত্যা শেষে মাটি চাপা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কেন? ঘটনার বিষয়ে পুলিশে কেন অভিযোগ করা হয়নি? তবে কি জড়িতদের সাথে কোন চুক্তি হয়েছিল ? নাকি অন্তরালে রয়েছে অন্যকিছু? এমন অনেক প্রশ্ন স্থানীয় এলাকাবসীর মধ্যে।আর এ কারণেই স্থানীয় এলাকাবাসী নবজাতকের পিতৃ পরিচয় নিশ্চিত করতে ডিএনএ পরীক্ষারও দাবি জানান ।
পাটকেলঘাটা থানার অফিসার(ওসি) ইনচার্জ ওহিদ মোর্শেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কালের কণ্ঠকে বলেন, উদ্ধারকৃত নবজাতককে চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে শিশুটি তার নানীর সাথে সদর হাসপাতালে রয়েছে। আর ভিকটিম কুমারী মাতা তার পিত্রালয়ে রয়েছে। এঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।