নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ীর কিশোরগাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের পর হতে স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের ফুসিয়ে তুলে এ মামলার ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার চক্রান্তের প্রতিবাদে কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের কেশবপুর নামক স্থানে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৬ জুন শনিবার সকাল সাড়ে ১১ ঘটিকায় এ মানববন্ধন শেষে একই স্থানে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের জাইতোর গ্রামের বাসিন্দা উক্ত মামলার বাদী জিয়াউল হক জুয়েল আগামী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে অংশ গ্রহন করতে চাই আমি একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনী কার্যক্রম দীর্ঘদিন হলো চালিয়ে যাচ্ছি। আমি আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীসহ আইন শৃংখলা বাহিনী ও প্রশাসনের নিকট জানাতে চাই গত ২১ জুন গাইবান্ধা বিজ্ঞ বিশেষ জজ আদালতে মামলা দায়ের করি। যাহার মামলা নং – (১-২১)। এ মামলায় গাইবান্ধায় বিজ্ঞ বিশেষ জজ আদালত কর্তৃক মামলা আমলে নিয়ে দুর্নীতি দমন বিভাগে তদন্তের নির্দেশ দেয়। পলাশবাড়ীর কিশোরগাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের বিরুদ্ধে ১৩২টি ভুয়া প্রকল্পের নামে ২১ কোটি ২০ লাখ টাকা ও ১ লাখ ২৪ হাজার মে. টন গম আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত মামলা আমলে নিয়ে রংপুর দুর্নীতি দমন বিভাগে ধারা ৪০৬/৪২০ এবং দুর্নীতি দমন আইনে ০৫ ধারা মতে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
আরো আপনাদের অবগত করতে চাই যে, ওই ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যরা ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছর থেকে ২০২০-২০২১ অর্থ বছর পর্যন্ত অতিদরিদ্রদের কর্মসূচীর আওতায় ১৮টি, কাবিখা/কাবিটার ৪টি, ইউনিয়নের জন্য ১% বাবদ ২টি, টিআর ১৪টি, শ্রমিকদের নামের তালিকায় ৭৫% নাম আসামিদের নাম অন্তভূক্তকরণ মোট ৩৮টি প্রকল্পের ১ কোটি ১৮ লাখ টাকাসহ সর্বমোট ১৩২টি প্রকল্পের ২১ কোটি ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৩৮০ টাকা এবং ১ লাখ ২৪ হাজার ৪৯৮ মে. টন গম আত্মসাৎ করে, শুধু তাই নয়, উক্ত আসামিরা অতিদরিদ্র কর্মসূচীর আওতায় শ্রমিকদের নামের তালিকায় নিজস্ব লোকজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করেও বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এসব আত্মসাতের অভিযোগে গাইবান্ধা বিশেষ জজ আদালতে ২১ জুন সোমবার একটি মামলা (১/২১ নং) দায়ের করা হয়েছে। উক্ত মামলাটি আমলে নিয়ে বিজ্ঞ বিশেষ জজ আদালত রংপুর দুর্নীতি দমন বিভাগে ধারা ৪০৬/৪২০ এবং দুর্নীতি দমন আইনে ০৫ ধারা মতে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
উক্ত মামলায় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রিন্টুসহ ১১ জন ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির এ মামলা দায়ের করি। মামলার আসামি অত্র ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্যরা হলেন- মমতাজ আলী, মো. রেজাউল, মো. মতলুবর রহমান, রফিকুল ইসলাম, মোজাম্মেল হক, নওশা মিয়া, রঞ্জনা রাণী মহত্ম, অহেন্দ্র নাথ সরকার এবং সদস্যা এমিলি খাতুন ও মেনেকা।
আপনাদের জ্ঞাতার্থে আরো জানাতে চাই, এ মামলা দায়ের পর হতে ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রিন্টু স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের ফুসিয়ে তুলে আমাকে মিথ্যা দোষারোপ করে অপপ্রচার মুলক মানববন্ধন করেছে। যে মানববন্ধনে ইউপি সদস্যগণ কর্মসূচীর শ্রমিকদের দিয়ে করিয়েছেন যার প্রমাণ আমার নিকট রয়েছে। আমি বিজ্ঞ আদালতে তা উপস্থাপন করবো। এছাড়াও আপনারা জানেন যে অত্র ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন রাস্তার অনুমোদন ছাড়া কয়েক হাজার গাছ কেটে সবার করা করেছেন যার নেতৃত্ব দিয়েছেন অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রিন্টু ও ইউপি সদস্যগণ। আরো জানেন যে অত্র ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হলেও আজও কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করায় এতে প্রমানিত হয় এসব অবৈধ কার্যক্রম পরিষদ কে ম্যানেজ করে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রিন্টুসহ ইউপি সদস্যদের এহেন অপকর্ম, নেক্কার জনক ষরযন্ত্র ও চক্রান্তের প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং তদন্ত সাপেক্ষে অনিয়ম দূর্নীতি ও অর্থআত্মসাৎ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার প্রার্থনা করছি।
এরআগে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন রঞ্জু মিয়া,জাইতর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কফিল উদ্দিন,শিক্ষক রোস্তম আলী মাষ্টার ,কুমুর উদ্দিন সরকার,জসিম মন্ডল,রুবেল সরকার,নজরুল ইসলাম প্রমুখ । এসময় স্থানীয় ৩ শতাধিক নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।