ময়মনসিংহ রেলস্টেশনে এক মানসিক ভারসাম্যহীন নারী তার পাঁচ দিনের নবজাতককে ছেলেকে নিয়ে পড়ে ছিল রাস্তায়। এ অবস্থায় দেখে এক ব্যক্তি ফোন করে এক স্বেচ্ছাসেবককে জানালে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মানসিক ভারসাম্যহী পাগলি সহ নবজাতককে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পাগলি মা সহ নবজাতকটিকে ‘হেল্প প্লাস ফাউন্ডেশন ময়মনসিংহ, এর কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক উদ্ধার করে। ভারসাম্যহীন ওই নারী নিজের সন্তানের মমতা বুঝতে না পারায় এই কয়েক দিন মৃতপ্রায় অবস্থায় পড়ে ছিল শিশুটি।
স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনকে খবর দিলে স্বেচ্ছাসেবক জয় এব্যাপারে জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রেলস্টেশনে ভারসাম্যহীন নারীসহ ওই নবজাতকটি দেখে মনে হয় জন্মের পর থেকে শিশুটি কিছু খায়নি। ফলে ক্ষুধা আর অযত্ন-অবহেলায় যেকোনো সময় মারা যেতে পারে শিশুটি
।
তিনি আরও বলেন, এ অবস্থায় সাফরান আহম্মেদ নামে এক স্বেচ্ছাসেবককে মোবাইল করে জানানোর পর তিনিসহ কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে নবজাতকটিকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
এ বিষয়ে হেল্প প্লাস ফাউন্ডেশন ময়মনসিংহের প্রতিষ্ঠাতা সাফরান আহম্মেদ বলেন,ভারসাম্যহীন নারী সুস্থ থাকলেও নবজাতকের শারীরিক অবস্থা ভালো না। নবজাতককে আইসিইউতে নিয়ে অক্সিজেন দিচ্ছেন চিকিৎসক।
ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীসহ নবজাতকের ছবিটি পোস্ট করেছেন কয়েকজন।
মানসিক ভারসাম্যহীন অবুঝ ওই পাগলি নারীর সঙ্গে যৌন ইচ্ছে পূরণ করে সন্তান জন্ম দিয়ে দায়িত্বহীন ওই অমানুষের প্রতি ধিক্কার জানাচ্ছেন সবাই। এটি সামাজিক অবক্ষয় হিসেবেই দেখছেন অনেকেই।