১১ আগস্ট থেকে ১৮ বছরের বেশি বয়সী লোকজন বাইরে বের হলেই শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। টিকা গ্রহণ ছাড়া দোকানপাটসহ কর্মস্থলে যাওয়া যাবে না। মানুষের চলাচলের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। টিকা গ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে অধ্যাদেশ জারি করে শাস্তির বিধান নির্ধারণ করা হবে।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার (৩ অগস্ট) সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিন ছাড়া ১৮ বছরের বেশি বয়সের কোনো মানুষ মুভমন্ট করলে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। সরকার দরকার হলে অধ্যাদেশ জারি করেও শাস্তির ব্যবস্থা করবে। যেহেতু এখন সংসদ অধিবেশন নেই, তাই অধ্যাদেশ জারি করা হতে পারে।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ৭ দিনে ১ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করেছে। সুতরাং ভ্যাকসিন ছাড়া ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে কেউ রাস্তায় বের হলে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। দোকান পাট খ্লো হলেও সংশ্লিষ্টদের টিকা গ্রহণ করতে হবে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ১০ আগস্ট পর্যন্ত বিধিনিষেধ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্ব আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব আনোয়ারুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ভার্চুয়ালি মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা যুক্ত ছিলেন।
এর আগে গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ দেয় সরকার। সেই বিধিনিষেধের মেয়াদ আগামী ৫ আগস্ট রাত ১২টায় শেষ হওয়ার কথা ছিল। আজ আবার নতুন করে ১০ তারিখ পর্যন্ত বিধিনিষেধ বাড়ানো হলো।
বিধিনিষেধে সব ধরনের গণপরিবহন, সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ আছে। খাদ্যপণ্য উৎপাদন-প্রক্রিয়াকরণ, চামড়া পরিবহন-সংরক্ষণ ও ওষুধ খাত ছাড়া বন্ধ ছিল সব ধরনের শিল্প-কারখানা। তবে ১ আগস্ট থেকে রফতানিমুখী শিল্প-কারখানা খুলে দেওয়া হয়। এরপরও বন্ধ রয়েছে দোকান ও শপিংমলও। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষের বাইরে বের হওয়াও নিষেধ রয়েছে।