নিজেকে সভাপতি সাজিয়ে তালার রায়পুুরে পূজা মন্দিরের টিআর প্রকল্পের টাকা হাফিস করলেন মেম্বর বিকাশ
তালা(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ
সাতক্ষীরার তালায় ইউপি সদস্য কর্তৃক নিজেকে ভূয়া সভাপতি সাজিয়ে মন্দিরের উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা আতœসাতের ঘটনায় জেলরা প্রশাসক বরাবরর অভিযোগ হয়েছে।
অভিযোগে জানাগেছে, তালা উপজেলার ১২ নং খলিলনগর ইউনিযনের রায়পুর গ্রামের পূর্ব পাড়া বাসন্তী পূজা মন্দিরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষনাবেক্ষণ (টিআর) প্রকল্পের আওতায় ৫২ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়। কিন্তু স্থানীয় ৯নং ওযার্ড সদস্য বিকাশ চন্দ্র মন্ডল নিজেকে ঐ মন্দির কমিটির সভাপতি পরিচয় দিয়ে গোপনে কাউকে কিছু না বলে চুপিসারে প্রকল্পের প্রথম কিস্তির ২৬ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। এরপর তিনি কাউকে কিছু না বলে চুপিসারে মন্দিরের কোন প্রকার কাজ না করেই সমুদয় টাকা আতœসাৎ করেছেন। এনিয়ে রায়পুর পূর্বপাড়া বাসন্তী পূজা উদযাপন পরিচালনা পরিষদের সভাপতি দিপংকর গোলদার সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
সরেজমিন প্রতিবেদন কালে পূর্ব পাড়া বাসন্তী পূজা মন্দিরের সহ-সসভাপতি ভীম গোলদার, কোষাধ্যক্ষ আশিষ মুনি, সদস্য জ্যোতিশ মন্ডল, বিনোদ বিহারী বাঁছাড়, রবীন্দ্র নাথ মন্ডল, মন্দিরের পূজারী খগেন্দ্র নাথ মুনি, পংকজ মন্ডলসহ কমিটির অন্যান্যরা কালের কণ্ঠকে জানান, তাদের পূজা মন্দিরের নামে কোন বরাদ্দ হয়েছে কিনা সেটা তারা বলতে পাারবেন না। তবে কয়েক দিন আগে মন্দিরের সভাপতি দিপংকরের মাধ্যমে বিষয়টি তারা অবগত হয়েছেন যে, তাদের ইউপি সদস্য বিকাশ মন্ডল বরাদ্দের ৫২ হাজার টাকার প্রথম কিস্তির ২৬ হাজার টাকা কাউকে না জানিয়ে উত্তোলন করে আতœসাৎ করেছেন।
এব্যাপারে পূজা উদযাপন কমিটির সহ-সম্পাদক অর্জুন গোলদার কালের কণ্ঠকে জানান, পূজা মন্দিরের নামে কোন প্রকার বরাদ্দ হয়েছে কিনা সেটা তার জানা নেই। তবে কিছু দিন আগে বিষয়টি কমিটির সভাপতি দিপংকর গোলদার তাকে অবহিতপূর্বক টাকাগুলি স্থানীয় ইউপি সদস্য বিকাশ মন্ডল নিজেকে সভাপতি পরিচয়ে উঠিয়েছেন বলে জানান।
এব্যাপারে পূজা পরিচালনা কমিটির সভাপতি দিপংকর গোলদার কালের কণ্ঠকে জানান, তিনি উক্ত রায়পুর পূর্বপাড়া বাসন্তী পূজা উদযাপন পরিচালনা পরিষদের নির্বাচিত বৈধ সভাপতি। সম্প্রতি তিনি অবগত হন যে, স্থানীয় ৯ নং ওয়ার্ড সদস্য বিকাশ মন্ডল নিজেকে পূজা মন্দিরের সভাপতি পরিচয় দিয়ে মন্দিরের বরাদ্দের ৫২ হাজার টাকার মধ্যে প্রথম কিস্তির ২৬ হাজার টাকা উত্তোলন করে আতœসাৎ করেছেন। এব্যাপারে তিনি জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন বলেও জানান তিনি।
এব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য বিকাশ মন্ডল টাকা উত্তোলনের কথা স্বীকার করে কালের কণ্ঠকে জানান, টাকাগুলি তিনি উঠিয়ে রেখেছেন। তবে কোন কাজ করেছেন কিনা জানতে চাইলে বলেন, এখনো কাজ করা হয়নি।