নিজেকে সভাপতি সাজিয়ে তালার রায়পুর পুজা মন্দিরের টিআর প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করলেন মেম্বর বিকাশ” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশে টনক নড়ে তালা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: ওবায়দুল হকের। তিনি নিজেকে বাঁচাতে ইউপি সদস্য বিকাশ চন্দ্র মন্ডলকে নিজ কার্যালয়ে ডেকে উত্তোলনকৃত প্রথম কিস্তির ২৬ হাজার টাকা ফেরৎ নেন।
এরপর তিনি মন্দির কমিটির মূল সভাপতি দিপংকর গোলদারকে ডেকে ৫১ নং প্রকল্প ফরম ধরিয়ে দিয়ে পূরণ করে টাকা উত্তোলনের জন্য বলেন। তবে জেলা প্রশাসকের দফতরে লিখিত অভিযোগ ও ভূয়া নামে আগেই চেক ইস্যু ও টাকা উত্তোলন হওয়ায় ফরম পূরণ কিংবা টাকা উত্তোলন করেননি মন্দির কমিটির সভাপতি ।
এর আগে ইউপি সদস্য কর্তৃক নিজেকে মন্দির কমিটির ভূয়া সভাপতি দেখিয়ে উপজেলার ১২ নং খলিলনগর ইউনিযনের রায়পুর গ্রামের পূর্ব পাড়া সার্বজনীন বাসন্তী পূজা মন্দিরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষনাবেক্ষণ টিআর প্রকল্পের আওতায় ৫২ হাজার টাকা বরাদ্দের প্রথম কিস্তির ২৬ হাজার টাকা গোপনে মন্দিরের কোন প্রকার কাজ না করেই সমুদয় টাকা আতœসাৎ করেন।এ ঘটনায় পূজা মন্দির কমিটির সভাপতি দিপংকর গোলদার সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন ।
মন্দির কমিটির সভাপতি দিপংকর এপ্রতিনিধিকে জানান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ৫১ নং প্রকল্প ফরম ধরিয়ে দিয়ে পূরণ করে টাকা উত্তোলনের জন্য বলেন।যেহেতু প্রকল্প নিয়ে জেলা প্রশাসকের দফতরে লিখিত অভিযোগ ও ভূয়া নামে আগেই চেক ইস্যু ও টাকা উত্তোলন হয়েছে সেহেতু তিনি ফরম পূরণ কিংবা টাকা উত্তোলন করেননি।
এব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য বিকাশ মন্ডল টাকা উত্তোলনের কথা স্বীকার করে বলেন, টাকাগুলি উঠিয়ে তিনি ভূল করেছেন। তবে পিআইও স্যার ফোন করলে তিনি সমুদয় টাকা ফেরৎ দিয়েছেন ।
এব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মো: ওবায়দুল হক ্এপ্রতিনিধিকে বলেন, মন্দির কমিটির সভাপতি দেখিয়ে টিআর প্রকল্পের টাকা উত্তোলন করেন ইউপি সদস্য বিকাশ মন্ডল। তবে চেক ইস্যু করার আগে তিনি খলিলনগর ইউপি সচিব ও চেয়ারম্যানকে জানিয়ে ইউপি সদস্য বিকাশকে চেকটি দেন।পরে ইউপি সদস্য বিকাশ মন্দির কমিটির সভাপতি নয় বিষয়টি জানার পরেই তাকে নিজ কার্যালয়ে ডেকে উত্তোলনকৃত প্রথম কিস্তির ২৬ হাজার টাকা ফেরৎ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।