তালা প্রেসক্লাবের জায়গা উচ্ছেদ ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ জুলাই) বিকালে প্রেসক্লাব ভবনে ক্লাবের ভাড়াটিয়া দোকান মালিকগণ এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
দোকান মালিকদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বারুইহাটি গ্রামের সরদার গোলজার হোসেন।
লিখিত বক্তব্যে গোলজার হোসেন জানান, আমরা বিগত কয়েক বছর ধরে তালা প্রেসক্লাবের জায়গায় নির্মিত দোকানে মাসিক ভাড়া চুক্তিতে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। যে জায়গায় রয়েছে দুইটি দোকান, একটি অডিটোরিয়াম ও পত্রিকা অফিস । কয়েক মাস আগে তালা উপজেলার ইসলামকাটি গ্রামের মৃত নছিম উদ্দীন শেখের ছেলে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) কর্মকর্তা শেখ আমিনুল ইসলাম ও তার ভাই বিভিন্ন অপকর্মে আলোচিত শেখ আব্দুল আজিজ (মুহুরী) প্রেসক্লাবের দখলীয় সম্পত্তি উল্লেখ না আমাকে ছাড়াও পাশ্ববর্তী ভাড়াটিয়া মোঃ বিল্লাল সরদার, গণেশ দাস ও আমজাদ মোড়লের নামে অবৈধ দখল দেখিয়ে মন্ত্রী পরিষদ সচিবালয়ের এক কর্তাকে তথ্য গোপন করে ভুল বুঝিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে লিখিত আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে তালা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) অফিস থেকে সার্ভেয়ার ইমদাদুল ইসলাম তারেক তদন্ত আসেন। সে সময় আমাদের কাছে উক্ত জায়গার বিষয় জানতে চাইলে আমরা তালা প্রেসক্লাবের নির্মিত দোকানের ভাড়াটিয়া হিসাবে আছি মর্মে জানানো হয়। কিন্তু সার্ভেয়ার তারেক তালা প্রেসক্লাবের জায়গা উল্লেখ না করে আমাদের ভাড়াটিয়াদের বিরুদ্ধে অবৈধ দখল দেখিয়ে অভিযোগ গঠন করে তদন্ত প্রতিবেদন দেন। তারই প্রেক্ষিতে গত ১৬ জুলাই আমাদের বিরুদ্ধে রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর মোঃ আক্তার হোসেন স্বাক্ষরিত ১৫ দিনের সময় দিয়ে একটি উচ্ছেদ নোটিশ প্রদান করেন। কিন্তু উক্ত জায়গাটি আদৌ আমাদের নয়, কিভাবে আমরা দোকানঘর সরিয়ে নিবো।
তিনি আরো বলেন, ইসলামকাটি গ্রামের বিএডিসি কর্মকর্তা শেখ আমিনুল ইসলাম গত কয়েক বছর আগে তালা প্রেসক্লাবের পিছনে জায়গা খরিদ করে পাকা ভবন নির্মাণ করেছেন। তার সামনের জায়গা নিজ দখলে নিয়ে ব্যক্তিগত মার্কেট নির্মাণের উদ্দেশ্যে আমাদেরকে অবৈধ দখলদার দেখিয়ে এহেনও পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছেন, যেটি আদৌ সত্য নয়।
গোলজার হোসেন বলেন, ১৯৮৩ সালে তালা প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে তালা মৌজার ০১নং খাস খতিয়ানে ১৩০ দাগের ০.৩৮৭ একর জমিতে প্রেসক্লাবের ভবন নির্মাণ, অডিটোরিয়াম, পত্রিকা অফিস ও দোকানঘন নির্মাণ করে ভোগ দখলে আছে। প্রেসক্লাবের ভোগদখলীয় দোকানে আমরা ভাড়াটিয়া হিসাবে ব্যবসা করছি। এ সময় তিনি ভাড়াটিয়াদের পক্ষ থেকে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট বিষয়টি খতিয়ে দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। উক্ত সংবাদ সম্মেলনের সময় পাশ্ববর্তী ভাড়াটিয়া বিল্লাল হোসেন সরদার, গণেশ দাস ও আমজাদ মোড়ল উপস্থিত ছিলেন।