পুলিশ কর্মকর্তা হলেও অসহায় মানুষের কাছে মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন পাবনার পুলিশ সুপার (এসপি) মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম। এই পুলিশ কর্মকর্তার ভালো কাজগুলো পাল্টে দিচ্ছে পুলিশ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের নেতিবাচক ধারণা। পাবনায় অপরাধ করে পার পেতে পারছেনা অপরাধীরা। প্রশাসনের নজরদারী আর চৌকস পুলিশদের অভিযানে একের পর এক ধরা পরছে অপরাধীরা।
মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে পাবনাতে বেশ কয়েকটি অপরাধ সংঘটিত হয়। প্রায় প্রতিটি অপরাধেরই অপরাধীদের স্বল্প সময়ে গ্রেফতার করতে স্বক্ষম হয়েছে পাবনা জেলা পুলিশ। আর এর নেপথ্যে রয়েছেন পাবনার সুযোগ্য পুলিশ অফিসার, পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম। মো.মহিবুল ইসলাম খান ২০২০ সালের ৯ ডিসেম্বর পুলিশ সুপার হিসেবে পাবনায় যোগদান করেন। যোগদানের পরই পাবনায় একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেওয়ায় জেলাবাসীর কাছে ব্যাপক প্রশংসিত হন। জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি করোনা মহামারিতে কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি ঈশ্বরদীর সাংবাদিক টিপু সুলতানের একটি ফেসবুক পোস্ট দেখে ১ ঘন্টার মধ্যে একটি ছাতা সুনীল নামে এক পাদুকা মিস্ত্রিকে উপহার দেওয়ায় মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে তিনি জেলায় প্রশংসা পেয়েছেন। এক কথায় আস্থা, ভালোবাসা ও নির্ভরতার প্রতীক হয়ে উঠেছেন সাধারন মানুষের কাছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স, মাদক উদ্ধার, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য দ্রুত উদ্ঘাটন, মাসিক সভা, ওয়ারেন্ট তামিল, সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, মানবিকতা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক রাখা, মামলা নিষ্পত্তি, মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার, নারী ও শিশু হেল্প ডেস্কে সাড়া প্রদানসহ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও সার্বিক কার্যক্রম বিবেচনায় তাকে রাজশাহী রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপার হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।যোগদান করার পর থেকে তার কঠোরতায় জেলার প্রতিটি থানা এলাকায় অপরাধ প্রবণতা হ্রাস পেয়েছে। আগেকার মতো চুরি-ডাকাতির ঘটনাও নেই। অপরাধ দমনে তিনি কঠোর হলেও অসহায় মানুষের কাছে তিনি বিশ্বস্থ্য আশ্রয়স্থল। পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম নামটি এখন জেলার সর্বত্র সবার মুখে, অসহায় আর্তপীড়িত সাধারণ মানুষদের হৃদয়ে, মাদক ঝব্যবসায়ী, অপরাধী ও সন্ত্রাসীদের বুকের কম্পন এবং পুলিশই জনগনের শেষ আশ্রয়স্থল এমন ভরসা ও আস্থার জায়গা তিনিই তৈরি করেছেন। তিনি তার কর্মগুনে জেলাবাসীর কাছে মানবিক হয়ে উঠেছেন অন্যদিকে জেলার পুলিশ সদস্যের কাছে আদর্শ অভিভাবক হিসেবেও স্বীকৃতি পেয়েছেন। সেবা সততা নিষ্ঠা আর আন্তরিকতা দিয়ে যিনি ইতোমধ্যে পাবনাবাসীর আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। বলা চলে এই দশ মাসে তিনি পুলিশ সম্পর্কে পাবনাবাসীর ধারণাই পাল্টে দিয়েছেন। নিরলস পরিশ্রমী মেধাবি এই কর্মকর্তার কারণে পাবনার সাধারণ মানুষ আজ পুলিশকে তাদের রক্ষক ও সেবক ভাবতে শুরু করেছে। তিনি সাধারণ মানুষকে বার্তা দিতে পেরেছেন যে পুলিশ জনগন থেকে বিচ্ছিন্ন নয়, জনসাধারণের রক্ষাবচক হিসেবে পুলিশ তাদের সাথে রয়েছে। যে কোন প্রয়োজনে তারা যেন পুলিশের সাহায্য নেয়। দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালন এই নীতির কারণে তিনি জেলার মানুষের কাছে এখন আস্থার প্রতীক।
উল্লেখ্য, শরীয়তপুরের সম্ভ্রান্ত পরিবারের কৃতি সন্তান মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান ২৪তম বিসিএসে পুলিশ বিভাগে যোগদান করেন। প্রশিক্ষণ শেষে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি অফিসের স্টাফ অফিসার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ছয় মাস পর ডিএমপি ডিবি’র সহকারী পুলিশ কমিশনার হিসেবে যোগদান করেন। তারপর ইউএন মিশন, এএসপি সংস্থাপন পুলিশ হেকো, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেরপুর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নারায়নগঞ্জ। পদন্নোতি পেয়ে ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার কাউন্টার টেররিজম বিভাগে যোগদান করেন। জঙ্গীবিরোধী অভিযানে সাফল্যের জন্য ২০১৭ সালে বাংলাদেশ পুলিশের সর্বোচ্চ পদক বিপিএম এ ভূষিত হন। গত বছরের ৯ ডিসেম্বর তিনি পাবনার পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন।