পলাশবাড়ীর বাজারে আসছে জাতীয় মাছ ইলিশ। সুস্বাদু ইলিশ মাছ কেনার জন্য মানুষ বাজারে ভিড় জমালেও অতিরিক্ত দামের কারণে সাধারণ মানুষ ইলিশের স্বাদ গ্রহণ করতে পারছেন না, বিশেষ করে দৈনিক ৩০০-৫০০ টাকা আয়ের খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষের জন্য যা ক্রয় ক্ষমতার একেবারেই বাইরে।
ওজন ভেদে ১ কেজি ইলিশ ৬০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
৪০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে। এক কেজি ২০০/ ৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে বারোশো টাকা কেজি দরে। এসব ইলিশ সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার একেবারেই বাইরে। দেশে ইলিশের উৎপাদন বাড়লেও দাম কমছে না।
সরকার ইলিশ মাছ সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার ভেতরে আনার জন্য প্রতিবছর লাখ লখ টাকা প্রণোদনা দিচ্ছে। ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকারের প্রশাসন মৎস্য বিভাগ যৌথভাবে অক্লান্ত পরিশ্রম করছে। সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ইলিশ মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা ৮৪ শতাংশ। নদ-নদীতে প্রচুর সংখ্যক ইলিশ ধরাও পড়ছে।
আড়তে এবং আড়ত থেকে পাইকারি বাজারে যাওয়ার সাথে সাথেই মাছের দাম বেড়ে যাচ্ছে কয়েক গুণ। অসাধু ব্যবসায়ীরা খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে চড়া দামে ইলিশ মাছ বিক্রি করছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছে আরো চড়া দামে। যার ফলে খেটে খাওয়া, দিনমজুর মানুষেরা আর ইলিশ মাছ কিনে খেতে পারছেনা।
ইলিশের উৎপাদন ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেলেও সাধারণ মানুষের ঘরে অচেনা এসব ইলিশ। ক্রেতাসাধারণ বলছেন, সরকার প্রশাসনিকভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে ইলিশ মাছের উৎপাদন যেভাবে বাড়িয়েছে, সেভাবে ইলিশ মাছের বাজার মনিটরিং করা হলে সাধারণ মানুষ ইলিশ মাছ খেয়ে তাদের রসনা তৃপ্ত করার সুযোগ পেতে পারে।