শেরপুর জেলার শ্রীবরদীতে পাগলা কুকুরের কামড়ে ১৫ জন আহত হয়েছেন। ১৬ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় যাকে যেখানে পেয়েছে কামড়ায় ওই কুকুর। আহতরা শ্রীবরদী ও জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহতরা হলেন : পুরান শ্রীবরদীর আবু বক্করের মেয়ে মুক্তা (১২), সাইফুল ইসলামের স্ত্রী কুলসুম (২৫), সৈয়দ আলীর ছেলে সাহেব উদ্দিন (৮৫), নূর ইসলামের ছেলে নাজমুল (১৪), নয়ানী শ্রীবরদীর জজ মিয়ার মেয়ে জ্যোতি (৩), কুড়িপাড়া গ্রামের ফর্সার ছেলে আবু বক্কর (৭), টাংগারপাড়া গ্রামের রবিজলের ছেলে সোহাগ (৪), মামদামারী গ্রামের মোফাজ্জলের ছেলে সুজন (২৫), বলয়ের ছেলে আলাউদ্দিন (৬০), সহিজলের ছেলে উকিল (২৮), মৃত রিয়াজুলের ছেলে মাসুদ (৩০), ফকিরের ছেলে সহিজল (৫৫) উকিলের ছেলে ফারুক (২২), আব্দুল হাইয়ের ছেলে রাসেল (২১) ও বাঘহাতা গ্রামের মাহাজল হোসেনের মেয়ে মুন্নি (১০)।
স্থানীয়রা জানায়, দুপুরে কালো রঙয়ের একটি কুকুর প্রথমে মরিচাপাড়া, পুরান শ্রীবরদী, মামদামারীসহ বিভিন্ন এলাকায় যাকে যেখানে পেয়েছে তাকে সেখানেই কামড়িয়েছে ওই পাগলা কুকুর। এতে শিশুসহ ১৫ জনকে আহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুইজন গুরুতর হওয়ায় শেরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বাকীরা শ্রীবরদীতে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে চলে গেছেন। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে কুকুরের কোন ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি, তাই বাহির থেকে কেনা ভ্যাকসিন দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বাঘহাতা গ্রামের মাহাজল হোসেন বলেন, ‘দুপুরে পাগলা একটি কুকুর বিভিন্ন এলাকায় কামড়িয়েছে। এতে আমার মেয়েও আহত হয়েছে। পরে হাসপাতালে আনলে ডাক্তাররা বাইরে থেকে ভ্যাকসিন কিনে আনতে বলে। এজন্য আমরা বাইরে থেকে ভ্যাকসিন কিনে নিয়ে আসি। আসলে সবারতো ভ্যাকসিন কেনার সামথ্য নেই। তাই হাসপাতাল থেকে দেওয়া দরকার।’
শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মেডিকেল অফিসার ডা. অমিও বলেন, ‘উপজেলা পর্যায়ে কুকুরের ভ্যাকসিন দেওয়া হয় না। তাই জেলা সদর হাসপাতালে দিতে হবে। এজন্য আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি ও তাদের বলেছি জেলা সদর হাসপাতালে যেতে। কিন্তু অনেকেই বাইরে থেকে ভ্যাকসিন কিনে এনেছে এজন্য আমরা তাদের দিয়েছি। তাছাড়া বৃহস্পতিবার থাকায় সব কিছু বন্ধ এজন্য (রোববার) সদর হাসপাতাল থেকে কুকুরে ভ্যাকসিন নিতে পারবেন আহতরা।’