নির্বাচন কমিশন (ইসি) বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দ্বিতীয় ধাপে সারাদেশে প্রায় এক হাজার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে পারে।
রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ইসি সূত্র এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে ইসির ইসির যুগ্মসচিব ও পরিচালক (জনসংযোগ) এসএম আসাদুজ্জামান বলেন, বুধবার অনুষ্ঠিতব্য কমিশন সভায় দ্বিতীয় ধাপের ইউপি ভোটের বিষয়টি এজেন্ডায় রয়েছে। তবে সেদিন তফসিল ঘোষণা করা হবে কি না এটি কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
ইসি সূত্র জানায়, বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় কমিশনের ৮৬তম সভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন। ওইদিন কমিশন সভা শেষে দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনের তফসিল ছাড়াও সিরাজগঞ্জ-৬ শূন্য আসনের উপ-নির্বাচন, মহিলা আসন-৪৫ শূন্য আসনের উপ-নির্বাচন, সপ্তম ধাপের পৌরসভায় সাধারণ নির্বাচন ও স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শূন্যপদে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।
সূত্র জানায়, চলতি বছর ভোটের উপযোগী সব নির্বাচন আয়োজন সম্পন্ন করতে চায় ইসি। তাই পরবর্তী ধাপগুলোতে একটু বেশি সংখ্যক ইউপিতে ভোট নেয়া হতে পারে। দ্বিতীয় ধাপে প্রায় এক হাজার ইউপিতে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। এর আগে, ইসি সচিব হুমায়ূন কবীর সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, চলতি মাসের শেষে কমিশন সভায় ইউপি’র পরবর্তী ধাপের তফসিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩ মার্চ প্রথম ধাপের ৩৭১টি ইউপির তফসিল ঘোষণা করে ইসি। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ভোট হওয়ার কথা ছিলো ১১ এপ্রিল। কিন্তু কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে ভোট স্থগিত করা হয়। পরে নির্বাচনের তারিখ পুনর্নির্ধারণ করে ২১ জুন সেখান থেকে ২০৪টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ করে কমিশন। সেইসঙ্গে স্থগিত রাখা হয় ১৬৭টি ইউপির ভোট। পরবর্তী সময়ে স্থগিত থাকা ১৬১ ইউপিতে ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। যোগাযোগ সমস্যার কারণে ২০ সেপ্টেম্বর সেন্টমার্টিনে এবং আরো পাঁচটি ইউপির প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নির্বাচন স্থগিত করা হয়। বর্তমানে দেশে ইউপির সংখ্যা ৪ হাজার ৪৮৩টি। গত ২১ মার্চ মেয়াদ শেষ হয় ৭৫২ ইউপির, ৩০ মার্চ ৬৮৪ ইউপির, ২২ এপ্রিল ৬৮৫ ইউপির, ৬ মে ৭৪৩ ইউপির, ২৭ মে ৭৩৩ ইউপির এবং গত ৩ জুন ৭২৪ ইউপির মেয়াদ শেষ হয়েছে।