হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপুজা। এ উপলক্ষে সাতক্ষীরার তালায় প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রতিমা শিল্পীরা।শিল্পীর কল্পনায় দেবী দুর্গার অনিন্দ্য সুন্দর রুপ দিতে দিনরাত চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ।প্রতিমার সৌন্দর্য, চাকচিক্য, ভিন্নতার মধ্য দিয়ে সর্বাধিক প্রশংসা লাভের আশায় উপজেলার প্রতিটি মন্ডপ নেমেছে প্রতিযোগিতায়। ইতিমধ্যে অনেক স্থানেই প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ। এখন শুধু তুলির শেষ আঁচড় দেওয়া বাকি।আবার অনেক মন্ডপে প্রতিমায় রঙতুলির আঁচড় দিতে শুরু করেছেন প্রতিমা শিল্পীরাা।
পুজার দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে মন্ডপে মন্ডপে চলছে সাজসজ্জার কাজ। ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন শিল্পীরা। মহামারি করোনা ভাইরাস এখনও থামেনি এর মাঝেও ঘরে ঘরে চলছে উৎসব ও পুজার প্রস্তুতি। প্রতিমার রঙতুলির আঁচড় ও পোশাকের শোভাবর্ধনের কাজ শেষ হলেই অপেক্ষা শুধু পুজার দিনক্ষণের জন্য।কাশফোটা শরতের দেবীকে স্বাগত জানাতে সর্বত্র আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করছে। হিন্দু স¤প্রদায়ের সব বয়সী মানুষ সর্ববৃহৎ শারদীয় পুজাকে স্বার্থক করতে প্রহর গুনছে।সব মিলিয়ে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে প্রতিটি পুজামন্ডপে। তার সাথে পুজা কমিটি ও প্রশাসনের সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ন হয়েছে।
পঞ্জিকা বলছে, ২০২১ সালে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপুজা শুরু হবে ১১ অক্টোবর । তার আগে ৬ অক্টোবর মহালয়ায় দেবীপক্ষ। ১১ অক্টোবর ষষ্ঠীতে দুর্গাপুজা শুরু হয়ে চলবে ১৫ অক্টোবর দশমী পর্যন্ত।
এ বছর তালা উপজেলার ২টি থানার অধীন ১২টি ইউনিয়নে মোট ১৮৬টি পুজামন্ডপে দুর্গাপুজা অনুষ্ঠিত হবে। তার মধ্যে ধানদিয়া ইউনিয়নে ১৭টি মন্ডপে, নগরঘাটা ইউনিয়নে ০৯টি মন্ডপে, সরুলিয়া ইউনিয়নে ১০টি মন্ডপে, কুমিরা ইউনিয়নে ১৩টি মন্ডপে, তেঁতুলিয়া ইউনিয়নে ০৮টি মন্ডপে, তালা সদর ইউনিয়নে ২২টি মন্ডপে, ইসলামকাটি ইউনিয়নে ২০টি মন্ডপে, মাগুরা ইউনিয়নে ১০টি মন্ডপে, খলিষখালী ইউনিয়নে ২০টি মন্ডপে, খেশরা ইউনিয়নে ১৪টি মন্ডপে, জালালপুর ইউনিয়নে ১৩টি মন্ডপে ও খলিলনগর ইউনিয়নে ২০টি পুজামন্ডপে দুর্গাপুজা অনুষ্ঠিত হবে ।
প্রতিমা তৈরীর কারিগররা জানান, প্রতিমা তৈরিতে পৌরাণিক কাহিনীকে নানা আদলে ফুটিয়ে তুলার চেষ্টা চলছে। কারুকার্যতা শেষে রং তুলির নিখুঁত আঁচড়ে ফুটিয়ে তোলা হবে আধুনিকতার চমক । তবে এই কাজে পরিশ্রমের তুলনায় পারিশ্রমিক পর্যাপ্ত না হলেও দৃষ্টিনন্দন প্রতিমা তৈরিতে মনের মাধুরী দিয়ে কাজ কররে যাচ্ছি।
তালা উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও নবনির্বাচিত খলিলনগর ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক প্রণব ঘোষ বাবলু বলেন, পুজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ প্রতিবারের মতো এবারও প্রশাসনের সর্বাত্মক সাহায্য ও সহযোগিতা পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করছি। সরকারিভাবে যে অনুদান আসে তা অতিদ্রæতই মন্ডপ কমিটির কাছে পৌঁছে দেয়া হবে। করোনাকালীন দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হওয়ায় দর্শনার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ করেছেন।
তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী রাসেল ও পাটকেলঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নাজমুল হুদা জানান, দুর্গাপূজায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে। পুজামন্ডপ গুলোয় কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে। বরাবরের ন্যায় এবারও পুলিশ সদস্য, র্যাব বাহিনীর সদস্য, আনসার ভিডিপিসহ গোয়েন্দা পুলিশের কঠোর নজর থাকবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের কঠোর হাতে দমন করা হবে বলে জানান তারা