ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় বিষখালী নদীর তীরবর্তী উপজেলা সদরের কোলঘেঁষা ভাড়ানী খালের দাসপাড়া সার্বজনীন দুর্গামন্দিরসহ ২০টি পরিবারের বসতবাড়ী ভাঙ্গনের মুখে। দক্ষিন আউরা ব্রিজ থেকে বেইলী ব্রিজ পর্যন্ত অর্ধ কিলোমিটার এলাকায় এ তীর্ব ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এতে ওই এলাকার দূর্গা মন্দির, বসতবাড়ী, রান্নাঘর, বারান্দা ও শৌচাঘার সহ অনেক গাছপালা দেবে গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কাঠালিয়া-কৈখালী-ভান্ডারিয়া ভাড়ানী এ খালের পাড়ে অবস্থিত দাসপাড়া শ্রী শ্রী দুর্গামন্দির। এছাড়া খগেন্দ্র ভূষন দাস, অঞ্জলী রানী দাস, সৈকত দাস, বলরাম দাস, শ্যাম সুন্দর দাস, শীবানন্দ দাস, মনিন্দ দাস, চিত্তরঞ্জন দাস, ইত্তেফাক পত্রিকার দীর্ঘদিনের পুরানো এজেন্ট মেসার্স মদিনা পেপার হাউসের মালিক মো. আনিচুর রহমান, বাকি বিল্লাহ ষ্টোরের সত্ত¡াধিকারী মো. মাহবুব হোসেন, মাওলানা মো. আমির হোসেন, ফরেস্টার মো. আলমগীর, আলম ফার্মেসীর মালিক মো. আলম, ইউপি সদস্য মো. শাহীন খান, মো. পিন্টু খান, কাচামাল ব্যাবসায়ী মো. আলম মিয়া, মনির হোসেন, তানভীর ইসলাম সহ আরো অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে দীর্ঘ বছর ধরে বসবাস করছেন। হঠাৎ খালের তীব্র ভাঙ্গনে দেবে গেছে শ্রী শ্রী দাস পাড়া সার্বজনীন দুর্গামন্দির ও ফাটল ধরেছে মন্দিরের বিল্ডিং , ভাঙ্গনে দেবে মেসার্স মদিনা পেপার হাউসের মালিক মো. আনিচুর রহমান, বাকি বিল্লাহ ষ্টোরের সত্ত¡াধিকারী মো. মাহবুব হোসেন রান্নাঘর ও শৌচাঘর, ইউপি সদস্য মো. শাহীন খানের বসতঘরের একাংশ। হুমকির মুখে রয়েছে আরো ১৬ পরিবারের সবত ঘর ও স্থাপনা।
খালের ভাঙ্গন তীব্র হলে যে কোন মুহুর্তে বিলীন হয়ে যাবে মন্দির সহ তাদের ঘরবাড়ী। এছাড়াও ভাঙ্গনের হুমকিতে রয়েছে উপজেলা পরিবার-পরিকল্পনা অফিস, উপজেলা সদর উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র, খালের দক্ষিন পাড়ে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার আশ্রয়ন প্রকল্পের পঞ্চাশ পরিবার, পুলিশ মার্কেট ও সদর রোডের একাংশ ।
উপজেলার পত্রিকা এজেন্ট মো. আনিচুর রহমান জানান, গভীর রাতে বিকট শব্দ তাদের ঘুম ভেঙ্গে যায়। লাইট জ্বালিয়ে দেখতে পান ঘরের পিছনের বারান্দায় বড় ধরনের ফাটল ধরেছে। রান্নাঘরের একাংশ নদীতে দেবে গিয়ে বিভিন্ন মালপত্র পানিতে ভেসে গেছে। খালে ভাঙ্গন আরো তীব্র হলে যে কোন মুহুর্তে আমাদের ঘরবাড়ী বিলীন হয়ে যাবে।
উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির সাধারন সম্পাদক ও দাসপাড়া সার্বজনীন দুর্গামন্দির কমিটির সভাপতি খগেন্দ্র ভূষন দাস জানান, আমাদের দাসপাড়া দুর্গামন্দিরটি জমি ভাঙ্গনে দেবে গেছে এবং একাংশে বড় ধরনের ফাটল ধরেছে। ভাঙ্গন রোধ না হলে যে কোন মন্দিরটি নদী গর্বে বিলীন হয়ে যেতে পারে। তাই মন্দিরে ভাঙ্গন রোধে শীগ্রই বøক দিয়ে পাইলিং সহ প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গ্রনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
কাঠালিয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মাহমুদ হোসেন নাহিদ জানান, ভাঙ্গনের কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও সাথে আলাপ করে ভাঙ্গন রোধে যা করা প্রয়োজন করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুফল চন্দ্র গোলদার জানান, ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছি। জনপ্রতিনিধি ও আমাদের পক্ষ থেকে ভাড়ানী খালের ভাঙ্গন রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে।