ময়মনসিংহ ঢাকা মহাসড়কে বাড়ছে সড়ক দূর্ঘটনা। এতে জানমালের এবং আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন ভূক্তভোগীরা । ময়মনসিংহ নগরীর মাসকান্দা থেকে ভালুকা উপজেলার সীমান্তবর্তী সিডস্টোর পর্যন্ত গত ৯ মাসে ছোট- বড় ৩৩৫টি দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে
সূত্র জানায়, তন্মধ্যে গত এক সপ্তাহেই ত্রিশালের চেলের ঘাটে ৭জন, বৈলর ২ জনসহ ১০জন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে । ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, এই দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৬৯ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
মহাসড়কে অবাধে সিএনজি,ভ্যান,অটোসহ বিভিন্ন থ্রি-হুইলার, ব্যাটারিচালিত রিকশা অবৈধভাবে চলছে। এছাড়াও অপেক্ষাকৃত কম গতিসম্পন্ন ছোট যানবাহন চলাচল ,মানুষের অবাধ রাস্তা পাড়াপাড়, আইন বহির্ভূতভাবে রোড ডিভাইডার কেটে সুবিধামত ইউটার্ন তৈরী, ড্রাইভারদের প্রতিযোগীতা,উল্টোপথে যান চলাচল, মহাসড়কে যত্রতত্র পার্কিং এবং স্ট্যান্ড, সড়কের পাশে ইটবালি সংরক্ষন, মহাসড়কে দীর্ঘসময় বিকল হয়ে পড়ে থাকা যানবাহনকে পেছন থেকে ধাক্কা এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবেই দুর্ঘটনা এবং মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।
মহাসড়কে মোটরসাইকেল ও অবৈধ তিন চাকার যানবাহনসহ বহু ছোট যানবাহন চলাচল করে। ব্যাস্ত এই মহাসড়কে মালবাহী যানবাহনের বেপরোয়া চলাচলও করছে প্রতিদিন । ট্রাফিক আইন, সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ বাস্তবায়নও পরিলক্ষিত হচ্ছেনা, মহাসড়কের কোথাও কোথাও বাঁকা থাকার কারণেও এ দূর্ঘটনা অনেকাংশে দায়ী । যানবাহনের অনেক চালকদেরই নেই যথাযথ বা পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ । চালকদের পাশাপাশি পথচারীরাও সচেতন নয় । পথচারীরাও দুর্ঘটনার জন্য অনেকাংশে দায়ী। অনেক স্থানে ফুটপাত না থাকায় পথচারীরা ডান পাশ দিয়ে হাঁটেন না।
সড়কের অনেকস্থানে ওভারব্রিজ থাকলেও ওয়ারব্রিজ দিয়ে চলাচল করেন না । অনেক ক্ষেত্রে সড়ক দুর্ঘটনার জন্য চালকদের অতিরিক্ত পরিশ্রমজনিত ঘুমও দায়ি । বিশেষ করে ট্রাকের চালকরা দিনরাত ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করার কারণে ক্লান্ত হয়ে পড়েন । চালকের কাছে থাকা ইঞ্জিনের গরম হাওয়া এবং বাইরের ও আশেপাশের শব্দের কারণেও চালকরা ক্লান্ত হন । যানবাহনগুলিতে বিদেশ থেকে আমদানি করা নিন্মমানের ও নকল যন্ত্রপাতি ব্যবহারও দূর্ঘটনার আরেকটি কারণ।
ভাড়ি যানবাহনের অনেক চালক আইন জানলেও দেখা গেছে অটোবাইক বা সিএনজি চালক বা রিকশাওয়ালারা নিয়ম জানে না। একজনের দোষেও আরেকজনের দুর্ঘটনা ঘটে। ওভারটেক করার কারণেও দুর্ঘটনা বেড়েছে । ত্রিশাল থানার ওসি মাইন উদ্দিন জানান, ড্রাইভারদের সচেতন হতে হবে।
উল্টোপথে চলাচল থেকে বিরত থাকতে হবে । সব চাইতে বড় কথা যাত্রীসাধারন যারা আছেন তারা নিজে থেকে মহাসড়কে থ্রী হইলারে যাতায়াত না করলে দূর্ঘটনা অনেকাংশে লাঘব হবে। তারা জেনেও জীবন বাজী রেখে থ্রিহুইলারে মহাসড়কে যাতায়াত করছেন।