ময়মনসিংহে গণপরিবহন বন্ধে বিপাকে পড়েছে মানুষ। গণপরিবহন চালকেরা গণপরিবহণ চলাচল বন্ধ রাখায় এতে বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ ও চাকরিপ্রত্যাশী পরীক্ষার্থীরা। শুক্রবার সকালে নগরীর মাসকান্দা বাস টার্মিনাল ও পাটগুদাম ব্রিজ মোড়ে গিয়ে সাধারণ মানুষ ও চাকরিপ্রত্যাশী পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তি দেখা যায়। ধর্মঘটের ডাক দেওয়ায় বাস বন্ধ থাকায় অনেকেই বিপাকে পড়েছেন।
চাকরিপ্রার্থী হাসান বলেন,খাদ্য অধিদপ্তরে নিম্নমান সহকারী পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য ঢাকায় যেতে বাস টার্মিনালে এসে জানতে পারলাম কোনো বাস ছেড়ে যাবে না। এখন কীভাবে ঢাকায় যাব, এটা বুঝতে পারছি না।
ময়মনসিংহ-ধোবাউড়ার জনৈক বাসচালক বলেন, হঠাৎ করে প্রতি লিটার ডিজেলে ১৫ টাকা বাড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছি।
এনা পরিবহনের চালক হানিফ বলেন,হঠাৎ সরকারের এমন সিদ্ধান্ত আমাদের মতো গরিব মানুষের পেটে লাথি মারা ছাড়া আর কিছুই না। আমাদের মালিক ও পরিবহন নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে দাবি মানলেই রাস্তায় গাড়ি চলবে।
ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে শুক্রবার ফজরের নামাজের পর থেকেই ঢাকায় যাওয়ার জন্য যাত্রীরা টার্মিনালে এসে ভিড় করছে। সাধারণ যাত্রীদের তুলনায় চাকরিপ্রার্থী যাত্রীর সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। তবে মালিক ও পরিবহননেতাদের নির্দেশে গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। সরকার ডিজেল বৃদ্ধির সঙ্গে ভাড়ার সমন্বয় করলে এমন হতো না।
ময়মনসিংহ জেলা মোটর মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা বলেন হঠাৎ করে ডিজেলের মূল্য ১৫ টাকা বৃদ্ধি করায় সারা দেশের মতো ময়মনসিংহের চালক ও মালিকেরা গণপরিবহন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। আশা করছি সরকার মানুষের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে দাবি মেনে নেবে।
এদিকে হঠাৎ গণপরিবহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চাপ বেড়েছে ট্রেনে। সকাল থেকে স্টেশনে ঢাকাগামী যাত্রীদের ভিড় লক্ষ করা গেছে।
ময়মনসিংহ রেলস্টেশন সুপারিনটেনডেন্ট জাহাঙ্গীর আলম বলেন,গণপরিবহন বন্ধ থাকায় অন্যান্য দিনের তুলনায় স্টেশনে যাত্রীর চাপ অনেকটা বেশি ছিল। তবু লোকজন যে যেভাবে পারে ট্রেনে গেছে।