ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মুশুলী-সিংরইল পাকা সড়কের একটি কালভার্ট ভেঙ্গে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে সড়কটিতে যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ফলে মুশুলী,সিংরইল ও আচারগাঁও ইউনিয়নের একটি অংশের প্রায় ১৫ গ্রামের মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। স্থানীয়রা বলছে, নির্বাচন এলে সবাই আশ্বাস দেয় সংষ্কারের । কিন্তু কোন জনপ্রতিনিধি এই সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি।
সরজমিনে দেখা গেছে, ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের মুশুলী চৌরাস্তা থেকে সড়কটি সিংরইল বাজার হয়ে নান্দাইল-হোসেনপুর সড়কে গিয়ে মিশেছে। ওই সড়কের আগমুশুলী গ্রামে একটি কালভার্ট গত দুই বছর ধরে ইট-সুরকি ঢালাই উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আস্তে আস্তে সেই গর্ত বড় আকার ধারণ করেছে। এই অবস্থায় দীর্ঘদিন সড়কটি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে হাজার হাজার মানুষ সহ ছোট ছোট যান চলাচল করেছে। কিন্তু দুই সপ্তাহ আগে সেই গর্তটি বড় আকার ধারণ করায় সড়কের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
পাঁছমুশুলী গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গির আলম বলেন, সড়কটি দিয়ে মুশুলী কলেজ, মুশুলী উচ্চ বিদ্যালয়, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সহ প্রায় ৪-৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে। এছাড়াও তিনটি ইউনিয়নের বাসিন্দারা এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে। কিন্তু দীর্ঘদিন ওই কালভার্ট ও সড়কের অবস্থা নাজুক হওয়া সত্যেও কোন জনপ্রতিনিধি খোঁজ নেয়নি। ইজিবাইক চালক জসিম ও সুজন মিয়া বলেন, ক্ষতবিক্ষত সড়ক দিয়ে এতদিন গাড়ী চালালেও এখন গর্তটা বড় হয়ে যাওয়ায় অন্য সড়কে চালাচ্ছি। মুশুলী গ্রামের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম কুকুল বলেন, কোন মতে সাইড দিয়ে ইজিবাইক ও মোটরসাইকেল যাওয়ার চেষ্টা করলেও প্রতিদিনই পড়ে দুর্ঘটনা ঘটছে। গতকালও ভাঙ্গা অংশের সাইড দিয়ে যাওয়ার সময় দুইটা ইজিবাইক উল্টে যাত্রিরা আহত হয়েছে। কালভার্ট সহ সড়কটি দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন।
এই বিষয়ে নান্দাইল উপজেলা প্রকৌশলী আল-আমিন সরকার বলেন, দুদিন আগে ওই কালভার্ট সম্পর্কে জেনে সহকারি প্রকৌশলীকে ইষ্টিমেট তৈরির কথা বলেছি। তাৎক্ষনিক কোন কাজ আমরা করতে পানি না, তবে দ্রুত সময়ের মধ্যেই এই কালভার্টটি তৈরি করার চেষ্টা করব।