ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে আদিবাসী দুই স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার মূল আসামি সোলায়মান হোসেন রিয়াদসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। র্যাব-১৪’র একটি দল ও ময়মনসিংহ হালুয়াঘাট থানার তদন্ত ওসি ইমরান আল হুসাইন সহ গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। শনিবার সকালে র্যাব ও ডিবির পক্ষ থেকে দেশপ্রান্তকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
গত ২৭ ডিসেম্বর রাতে জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার গাজীরভিটা ইউনিয়নের একটি গ্রামে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন দুই স্কুলছাত্রী। ভারতীয় সীমান্তবর্তী গ্রামে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় হতবাগ হয়ে পড়ে আদিবাসীরা।
২৯ ডিসেম্বর থানা পুলিশ নির্যাতিতদের বাড়িতে গিয়ে থানায় মামলা করতে পরামর্শ দেয়। ওই রাতেই ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় স্থানীয় প্রাক্তন ইউপি সদস্য আবদুল মান্নানের ছেলে সোলায়মান হোসেন রিয়াদকে।
এ মামলায় আরও আসামি করা হয়-কচুয়াকুড়া গ্রামের শহীদ মিয়ার ছেলে শরিফ (২০), আবদুল হামিদের ছেলে এজাহার হোসেন (২০), কাটাবাড়ি গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে রমজান আলী (২১), তালেব হোসেনের ছেলে কাউছার (২১) দুলাল মিয়ার ছেলে আছাদুল (১৯), মাহতাব উদ্দিনের ছেলে শরিফুল ইসলাম (২১), আবদুল মতিনের ছেলে মিজান (২২), মফিজুল ইসলামের ছেলে রুকন (২১) ও বকুল মিয়ার ছেলে মামুন (২০)।
অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে আন্দোলন করেন আদিবাসীরা। পরে শুক্রবার রাতে হালুয়াঘাট এলাকা থেকে প্রধান আসামি রিয়াদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-১৪’র অধিনায়ক উইং কমান্ডার মো. রোকনুজ্জামান।
অন্যদিকে গাজীপুর,তারাকান্দা ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন স্থান থেকে অভিযান চালিয়ে আরও ৫ আসামিকে গ্রেপ্তার করে ময়মনসিংহ ডিবি পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন-শরিফ মিয়া, মিজানুর রহমান, মো. মিয়া হোসেন, মো. রুকন মিয়া ও আবদুল হামিদ। এদের মধ্যে এজাহারভুক্ত আসামি ৪ জন এবং তদন্তে সম্পৃক্ততা পাওয়ায় আব্দুল হামিদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, দুই গারো কিশোরী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ৫ আসামিকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।