সাতক্ষীরা তালায় পূর্ব শত্রুতার জেরে গভীর রাতে ইব্রাহীম সরদার(২৮)নামে এক যুবককে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। গুরুতর আহত ইব্রাহীম দক্ষিন নলতা গ্রামের আব্দুল মজিদ সরদারের ছেলে।এ সময় আরো দুইজন আহত হয়। আহতরা হলেন, ইব্রাহীম সরদারের মা ফরিদা বেগম(৪৫) ও পিতা আব্দুল মজিদ সরদার(৫২)। ঘটনার রাতেই আহতদের উদ্ধার করে তালা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়নের দক্ষিন নলতা গ্রামে। এঘটনায় তালা থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে ।
আহত আব্দুল মজিদ সরদার জানায়, উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়নের দক্ষিন নলতা গ্রামের প্রতিবেশী চাচা সাজ্জাদ সরদারের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে তাদের বিরোধ চলে আসছিল।এরই জেরে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে তার ছেলে ইব্রাহীম সরদার ঘরের দরজা খুলে বারান্দায় আসা মাত্রই পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে সাজ্জাদ সরদারের ছেলে মাহমুদুল সরদার(২৫)গংরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার হামলা চালায়।এসময় তারা ইব্রাহীমের মাথায় কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। ইব্রাহীমের ডাক চিৎকারে মা ফরিদা বেগম ও পিতা মজিদ সরদার এগিয়ে আসলে তাদের কেও পিটিয়ে আহত করা হয়। এসময় তাদের ডাক চিৎকারের এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়।পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে রাতেই তালা হাসপাতালে ভর্তি করেন।
তিনি আরো জানান,তার ছেলের মাথায় সাতটি সেলাই দেওয়া হয়েছে আর স্ত্রীর বাম হাত ভেঙ্গে গেছে বলে ধারনা করছেন ডাক্তাররা।তবে এক্সরে না করা পর্যন্ত সঠিক ভাবে বলতে পারছেন না তারা। বর্তমানে গুরুতর জখম ইব্রাহীম তালা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।তবে ইব্রাহীমের অবস্থা আশঙ্কা জনক বলেও জানান তিনি।
তালা হাসপাতাল সুত্রে জানাযায়,গুরতর জখম ইব্রাহীমের মাথার ডান পাশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেওয়া হয়েছে।তার মাথায় সাতটি সেলাই দেওয়া হয়েছে।
তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম এ প্রতিনিধিকে বলেন, এঘটনায় এখনো পর্যন্ত থানায় কেও লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলেও জানান তিনি।