সাতক্ষীরার তালায় বসতবাড়ির সিমানা প্রাচীর সংস্কারের সময় প্রতিপক্ষরা হামলায় চালিয়ে সিমানা প্রচীর ভাংচুরের করার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় এক নারী লাঞ্চিতোর ঘটনা ঘটেছে। লাঞ্চিত ঐ নারী নাংলা গ্রামের মৃত আজিজুর মাষ্টারের মেয়ে ।এঘটনায় তালা থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (২৩ মার্চ) সকালে উপজেলার ইসলামকাটি ইউনিয়নের নাংলা গ্রামে ।
তালা উপজেলার কেসমত ঘোনা গ্রামের মৃত সোহরাব উদ্দীনের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৫২) জানান, বুধবার সকালে আমার শশুর বাড়ী নাংলা গ্রামে সিমানা প্রাচীর সংস্কারের সময় মাগুরা প্রগতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক মতিয়ার রহমান (৫৫), তার বড় ভাই অজিয়ার রহমান (৬০) ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কাজ করতে নিষেধ করে। নিষেধের কারন জানতে চাইলে কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই বাঁশের লাঠিদ্বারা তাদের এলোপাতাড়ী ভাবে মারপিঠ শুরু করে । এসময় তার স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগমসহ তার দুইপুত্র এবং শালিকাকে লাঞ্চিত করে ও সিমানা প্রাচীর ভাংচুর করে।এসময় স্থানীয় এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে তারা জীবননাশের হুমকী দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এবিষয়ে মাষ্টার মতিয়ার রহমান জানান, সিমান প্রাচীর ভাংচুরের কোন ঘটনা তার জানানাই। ঐসময় তিনি মাঠে ছিলেন। মাঠ থেকে এসে তিনি শুনেন তারা নিজেরাই ঝগড়া করে সিমানা প্রাচীর ভাংচুর করেছে।
এঘটনায় লাঞ্চিতের স্বামী অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট এর সুবিচার দাবি করেন।
তালা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান জানান, এঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ পাইনি।অভিযোগ দিলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।