ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায় মাহমুদা আক্তার (৪) নামের এক শিশুকে কাঁচি দিয়ে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মায়ের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার পুটিজানা ইউনিয়নের দাওসাও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মা নাজমা বেগমকে (৪০) আটক করেছে পুলিশ।
ফুলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা জাকির হোসেন জানান, কিছুটা মানসিক সমস্যাগ্রস্ত নাজমা বেগমের একাধিক বিয়ে হয়। গত পাঁচ বছর আগে জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার দাওগাও এলাকার রমজান আলীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। রমজান আলী মাদক ও জুয়া খেলায় আসক্ত হওয়ায় তিন মাসের গর্ভে থাকা শিশুকে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসেন। এরপর থেকে তিনি বাবার বাড়িতেই থাকতেন।
বৃহস্পতিবার সকালে মাহমুদা আক্তার পাশের বাড়ির উঠানে খেলাধুলা করছিল। হঠাৎ করেই নাজমা বেগম দৌড়ে নিজের মেয়েকে মাটিতে ফেলে কাঁচি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। পরে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে শিশুটিকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। পরে স্থানীয়রা নাজমাকে শিকলে বেঁধে থানায় খবর দেন।
মোল্লা জাকির হোসেন আরও বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শিশুর মা নাজমা আক্তারকে আটক করে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কাঁচি জব্দ করা হয়েছে।