বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার গজারিয়া নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ মালা বেগমের (৩৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (১০ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে লেঙ্গুটিয়া এলাকা সংলগ্ন গজারিয়া নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে চারজনে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মায়ানুর বেগমের ভাসুরের মেয়ে জামাই কবির কাজী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার (৮ এপ্রিল) ভোর ৬টায় মারা যান। তার বাড়ি একই ইউনিয়নের দড়িরচরখাজুরিয়া গ্রামে। খবর পেয়ে সকাল ১০টার দিকে মায়ানুর বেগম ও তার মেয়ে নাসরিন আক্তার, নার্গিস আক্তার, রোহানসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্য দড়িরচরখাজুরিয়া গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। তাদের সঙ্গে দুঃসম্পর্কের আত্মীয় ও প্রতিবেশী মালা বেগমও ছিলেন। গজারিয়া নদী পার হতে তারা যাত্রীবাহী ট্রলারে ওঠেন। তারা ছাড়াও ট্রলারে আরও কয়েকজন যাত্রী ছিলেন।
ট্রলারটি ছেড়ে মাঝনদীতে গেলে দমকা হওয়া এবং ঢেউয়ের কারণে দুলতে শুরু করে। এক পর্যায়ে ট্রলারটি পানিতে ডুবে যায়। এ সময় আশপাশে থাকা মাছধরার ট্রলার এগিয়ে এসে কয়েকজন যাত্রীকে উদ্ধার করে। কয়েকজন যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হন। ট্রলারডুবির বেশ কিছুক্ষণ পর মায়ানুর বেগম ও তার মেয়ে নাসরিন আক্তারকে উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
দুপুরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে বরিশাল নৌফায়ার স্টেশনের ডুবুরি দল। পরদিন নিখোঁজ শিশু রোহানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আজ নিখোঁজ বালা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বরিশাল নৌ ফায়ার স্টেশন কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলম বলেন, দুর্ঘটনার পর থেকে এ পর্যন্ত চারজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত ট্রলারের যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের আরও একজন নিখোঁজ রয়েছেন। তার সন্ধানে ডুবুরিরা তল্লাশি চালাচ্ছে। উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।