নরসিংদীর বেলাব উপজেলার ভাবলা গ্রামে এক ভূমিদস্যু ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক অসহায় এক হিন্দু পরিবারের জমি জবর দখল নেওয়ার লক্ষ্যে বাড়ি ভাংচুর, ডাকাতি ও ব্যাপক লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায় শীর্ষ ঋণখেলাপী ও ভূমিখেকো রানা চৌধুরী তার সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান সাবেক বেলাব উপজেলা যুবদলের সভাপতি মোজাম্মেল হক বাচ্ছুর নেতৃত্বে বিভিন্ন জনের ভাবলা সুত্রধর বাড়ির খোকন সুত্রধরের বাড়ির উপর হামলা চালায়। হামলা চালিয়ে তার পৈতৃক সম্পত্তিতে নির্মাণ করা একটি টিনের ঘর, বসতবাড়িতে প্রবেশ করে তাকে ও তার বউকে বেদরক প্রহার, নির্যাতন করে। এসব ঘরে রাখা স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নেয়। পরে তাদের আর্তচিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসী সহ রানা চৌধুরী পালিয়ে যায়। আহত খোকন সুত্রধর ও তার স্ত্রী কে বেলাব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।
খোকন সুত্রধর জানান, কোনকিছু বুঝার আগেই সন্ত্রাসী বাচ্চু ও তার ৪০/৫০ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী আমার বসতভিটা ও বাড়ির পাশের ঘরটিতে আক্রমণ করে। প্রতিরোধ করতে গেলে আমার, আমার স্ত্রী ও ছেলেকে প্রচন্ড মারধর শুরু করে। আমাদের আর্তচিৎকার শুনে লোকজন আসার আগেই বাচ্চু আমার ঘরের সবকিছু ভাংচুর করে লুটপাট করে ও পালিয়ে যায়।জানা গেছে প্রায় পাঁচ বছর ধরে ভাবলা সুত্রধর বাড়ির খোকন সুত্রধর, অজয় সুত্রধরকে তাদের পৈতৃক সম্পত্তি ছেড়ে দিয়ে অন্যত্র চলে যেতে চাপ প্রয়োগ করে ঐ রানা চৌধুরী। খোকন সুত্রধরের ছোট ভাই তপন সুত্রধর জানায়, এমন কোন নিপীড়ন নাই যা বাচ্চু, রানা চৌধুরী করছেনা। আমরা বলতে গেলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বলে তোদের মারলে কয়টাকা খরচ হবে?
অভিযোগের বিষয়ে রানা চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রনোদিত। আমি ১৯৮৯ সালে খোকন সূত্র ধরের বাবার কাছ থেকে জমি ক্রয় করি এখন সে জমি দখল দিচ্ছে না। এছাড়া তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে