দিনাজপুরের বীরগঞ্জে মো. নজরুল ইসলাম (৩০) নামে মানসিক প্রতিবন্ধীর হত্যার বিচার চেয়ে সড়কে মরদেহ রেখে বিক্ষোভ করেছেন স্বজনরা।
সোমবার (১৬ মে) বিকেলে বিক্ষোভ করেন তারা। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এর আগে সোমবার সকাল ৭টার দিকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় নজরুলের।
জানা গেছে, তাকে ভুট্টা চুরির অভিযোগে মারধর করা হয়। মারধরের ফলে অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় বলে দাবি করেছে তার পরিবার। মো. নজরুল ইসলাম উপজেলার শতগ্রাম ইউনিয়নের প্রসাদপাড়া গ্রামের মৃত মো. রফিকুল ইসলাম খাঁ’র ছেলে।
এ বিষয়ে তার মামা মো. আবু বক্কর সিদ্দিক কালু অভিযোগ করে জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় একই এলাকার রাঙ্গালীপাড়া গ্রামের মো. আবু হানিফার ছেলে মো. ইয়াসিন আলীর (৪৫) ভুট্টা ক্ষেতে গিয়ে পরিত্যক্ত ভুট্টা সংগ্রহ করে মানসিক প্রতিবন্ধী মো. নজরুল ইসলাম। এতে ভুট্টা ক্ষেতের মালিক মো. ইয়াসিন আলী ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে কয়েক দফা মারধর করে। মারধরের ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ে নজরুল। শনিবার তাকে গুরুত্বর অসুস্থ অবস্থায় দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকাল ৭টায় তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, মারধরে নজরুলের মৃত্যু হয়েছে। এটি হত্যাকাণ্ড। আমরা এ হত্যার দাবিতে মরদেহ ঝাড়বাড়ী বাজারের সড়কে রেখে প্রতিবাদ করছি। পরে পুলিশের আশ্বাসে থানায় এসে মো. ইয়াসিন আলী ও তার ছোট ভাই মো. মনজুরুল ইসলামকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে ভুট্টা খেতের মালিক মো. ইয়াসিন আলীর ছোট ভাই মো. মনজুরুল ইসলাম জানান, কয়েকদিন পূর্বে নিহতের আত্মীয় মো. জবুর শেখের ছেলে মো. আবু তালেবের সঙ্গে আমার ঝগড়া হয়। সেটি সামাজিকভাবে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে মীমাংসা হয়েছে। মো. নজরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে কিডনি রোগে আক্রান্ত। তিনি কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। অথচ সেই মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড বলে প্রচারণা চালিয়ে আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছি।
বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার বলেন, সংবাদ পাওয়া মাত্রই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে মৃতের বড় ভাই মো. নুর ইসলাম বাদী হয়ে দু’জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।