ঝালকাঠির পোনাবালিয়া ইউনিয়নে আলোচিত চেয়ারম্যান আবুল বাসার খানের বিরুদ্ধে দুটি লোহার ব্রীজের মামলামাল ৬৭হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার দুপুর ১টায় বিপুল পরিমান লোহার ভীম ও এ্যাংগেল মালামাল জনতা ও পুলিশ আটক করে। এ ঘটনায় মালামালের ক্রেতা মনসুর হোসেন ও ট্রাক চালকসহ ২জনকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাসার খানের বাড়ী থেকে পুরাতন দুটি লোহার ব্রীজের মালামাল তার বাড়ী থেকে কালোবাজারে বিক্রি করছিলো। বিষয়টি আমাদের নজরে পরলে ঝালকাঠি থানায় জানালে পুলিশের এসআই খোকন হাওলাদার ও এসআই মো. সালাউদ্দিন ঘটনাস্থলে এসে ট্রাকসহ মালামাল আটক করে।
আটক ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী মনসুর হোসেন জানায়, পোনাবালিয়ার চেয়ারম্যান আবুল বাসার খান কিছু পুরাতন ব্রীজের লোহার ভীম ও এ্যাংগেল বিক্রির কথা জানালে তার সাথে ৬৭হাজর টাকায় দরদাম চুরান্ত হয়। কোন সমস্যা হলে তিনি দেখবেন বলে আশ্বস্থ করলে আজ সোমবার সকালে ট্রাক ভাড়া করে তার বাড়ীতে এসে নগদ ৬৭হাজর টাকা দেই। পরে মালামাল ট্রাকে উঠিয়ে দুপুর ১টার দিকে রওয়ানা হলে স্থানীয় লোকজন ও এক পুলিশের দারোগা গাড়ী আটকায়। তখন আমি চেয়ারম্যানের কথা জানাই ও চেয়ারম্যানকে মোবাইলে ফোন করলে সে বিষয়টি দেখতেছি জানিয়ে এখোন ফোন বন্ধ করে রেখেছে।
আটক ট্রাক চালক জানায়, আমাকে নলছিটি পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী মনসুর পোনাবলিয়া থেকে বরিশাল মালামাল নিতে ৪হাজার টাকা ভাড়া করে। সে অনুযায়ী ট্রাক নিয়ে পোনাবালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাশার খানের বাড়ির মধ্যে কবরস্থানের পাশে রাখা স্থান থেকে এসব লোহার মালামাল গাড়ীতে তোলার পর নিয়ে যাচ্ছিলাম।
এ ব্যাপারে প্যানেল চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান শাহীন ও ইউপি সদস্য নান্না মিয়া জানায়, লালমন আলমগীরের বাড়ির সামনে ও নয়ার খালে উপরে নতুন কালভার্ট নির্মান হওয়ায় পুরাতন লোহার ব্রীজ দুটির মালামাল চেয়ারম্যান পরিষদে না রেখে তার বাড়ীতে নিয়ে যায়। পরিষদকে না জানিয়ে চেয়ারম্যান এসব মালামাল কিভাবে বিক্রি করলো সেটা তিনিউ জানেন।
এ বিষয়ে পোনাবালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাশার খান জানান, আমি কোন ব্রীজ নির্মান করিনি। কোথায় কি পাওয়া গেছে তা আমার জানা নেই। আমার বাড়িতে এ মালামাল পাওয়া যায়নি। আমার আগে একাধিক চেয়ারম্যান ছিল। তাদের কারো নাম ট্রাক চালক বলেছে কিনা জেনে দেখুন।
এ ব্যাপারে অভিযানকারী এসআই খোকন হাওলাদার জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা ১১ টি বড় ও ৫টি ছোট ভীম, ২০টি এঙ্গেল বোঝাই একটি ট্রাক জব্দ করে ঝালকাঠি থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এবিষয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে তদন্তপূর্বক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।