শেরপুরের শ্রীবরদীতে বোরকা পরে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে স্ত্রী, শ্বাশুরি ও জ্যাঠা শ্বশুরকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী মিন্টুর বিরুদ্ধে।
নিহতরা হলেন- স্ত্রী মনিরা বেগম (৩৫), শ্বাশুরি শেফালী বেগম (৫০) ও জ্যাঠা শ্বশুর আলহাজ্ব মাহামুদ (৬৫)। এ ঘটনায় আহত হয়েছে মনিরার পিতা মনু মিয়া, ভাই শাহাদাৎ হোসেন ও নিহত মাহমুদের স্ত্রী ছাহেরা বেগম।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) রাতে উপজেলার খোশালপুর পুটল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মনিরা পুটল গ্রামের মনু মিয়ার মেয়ে। আর অভিযুক্ত মিন্টু গেরামারা এলাকার হাইমুদ্দিনের ছেলে। লোমহর্ষক এ ঘটনায় এলাকায় আতংক বিরাজ করছে।
নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পুটল গ্রামের মনু মিয়ার মেয়ে মনিরার সাথে পার্শ্ববর্তী গেরামারা গ্রামের হাইমুদ্দিনের ছেলে মিন্টু মিয়ার বিয়ে হয়। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ের সন্তান রয়েছে। সম্প্রতি দাম্পত্য কলহের জের ধরে মিন্টু বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে বোরকা পড়ে দা নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে অতর্কিতভাবে হামলা করে। এতে কুপিয়ে হত্যা করে স্ত্রী মনিরা বেগমকে। এসময় বাঁধা দিতে গেলে শ্বাশুরি শেফালী খাতুন, জ্যাঠা শ্বশুর মাহামুদ, জ্যাঠা শ্বাশুরি বাচ্চুনি ও শ্যালক শাহাদৎকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।
পরে স্থানীয়রা আহতবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী বকশিগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে গেলে শেফালী বেগম ও মাহমুদকে মৃত ঘোষণা করেন। আর বাকী আহতদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
জেলা পুলিশ সুপার হাসান নাহিদ চৌধুরী বলেন, আমরা ঘটনাস্থল থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করি। আর দুইজনের মরদেহ বকসীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে উদ্ধার করি। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে, পাশাপাশি অভিযুক্তকারীরে ধরতে অভিযান চলছে।