রবার্ট লেভান্ডভস্কিকে দলে ভেড়ানোর চেষ্টা বার্সেলোনা কম করছে না। তবে বায়ার্ন মিউনিখও হাল ছাড়ছে না পোলিশ এই তারকাকে ধরে রাখার। সবশেষ খবর, লেভাকে বিক্রির ক্ষেত্রে নিমরাজি হয়েছে বায়ার্ন, তবে এক শর্তে, ট্রান্সফার ফি টা নগদেই দিতে হবে, বাকি রাখা চলবে না। কারণ ক্লাবটির বিশ্বাস, আগামী দুই বছরের ভেতর পথে বসে যাবে বার্সেলোনা, অস্তিত্বই থাকবে না তাদের।
শেষ কিছু দিনে বায়ার্ন মিউনিখ তারকার বার্সেলোনায় যোগ দেওয়া নিয়ে গুঞ্জনে মুখর ইউরোপীয় সংবাদ মাধ্যম। বার্সেলোনা বারতিনেক প্রস্তাব দিয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে বায়ার্নের কাছে।
অবশেষে বায়ার্ন কিছুটা রাজি হয়েছে এই ক্ষেত্রে। তবে বড়সড় একটা শর্ত ধরিয়ে দিয়েছে স্প্যানিশ ক্লাবটিকে। জানিয়ে দিয়েছে, যত টাকার চুক্তিই দুই দল করুক না কেন, টাকাগুলো দিতে হবে সঙ্গে সঙ্গেই। কারণ বায়ার্নের বিশ্বাস, বার্সেলোনা শিগগিরই অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে। দ্য অ্যাথলেটিকের জার্মান ফুটবল বিশেষজ্ঞ রাফায়েল হনিস্টেইনজানিয়েছেন এই খবর।
শেষ কিছু দিনে বার্সেলোনা নিজেদের টিভি স্বত্ব, বার্সা স্টুডিওর মালিকানা, ন্যু ক্যাম্পের নামস্বত্ব ইত্যাদির অংশ বিশেষ বিক্রি করে প্রায় ৮০০০ কোটি টাকার মতো আয় করেছে। তবে বায়ার্নের বিশ্বাস, এরপরও বার্সেলোনা তাদের অর্থনৈতিক দুরবস্থা কাটিয়ে উঠতে পারবে না। বরং বছর দুয়েকের ভেতরই দেউলিয়া হয়ে যাবে ক্লাবটি। সে কারণেই লেভান্ডভস্কির টাকাটা নগদেই চাইছে বায়ার্ন।
সম্প্রতি টোটালি ফুটবল নামক এক অনুষ্ঠানে হনিস্টেইন জানিয়েছেন, ‘বায়ার্ন বার্সেলোনাকে বলে দিয়েছে, আমরা কোনো প্রকার কিস্তিতে টাকা চাই না কারণ আমরা নিশ্চিত নয় তোমরা দুই বছর পর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারবে কি না। আমরা পুরো টাকাটাই এখন নগদে চাই। এটাই এই চুক্তির মুখ্য বিষয়।’
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ম্যানচেস্টার সিটি থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকায় ফেররান তরেসকে দলে ভেড়ায় বার্সা। তবে সেই টাকা তখনই দেয়নি ক্লাবটি। প্রায় পাঁচটি কিস্তিতে তার দলবদল অর্থ পরিশোধ করবে ক্লাবটি। সেই থেকেই বায়ার্ন ভাবছে, বার্সেলোনা লেভার দলবদল অর্থটা বুঝি দেবে কিস্তিতে।
৩৩ বছর বয়সী লেভান্ডভস্কি বরুসিয়া ডর্টমুন্ড থেকে বায়ার্নে যোগ দিয়ে ৮টি দারুণ মৌসুম কাটিয়েছেন। ৩৪৪টি বুন্ডেসলিগা গোল করেছেন, বায়ার্নকে জিতিয়েছেন ৮টি বুন্ডেসলিগা শিরোপা, ২০২০ সালে জিতেছেন অধরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপাটাও।
তবে বায়ার্নে এত বড় একটা সময় কাটানোর পর তিনি এখন নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে চাইছেন। সে কারণেই তিনি আর জার্মানিতে থাকতে চাইছেন না। নতুন মৌসুমে তিনি পাড়ি জমাতে চাইছেন স্পেনে, আরেকটু স্পষ্ট করে বললে, বার্সেলোনাতে।