বছর আগে শাশুড়িকে নিয়ে পালিয়ে যান জামাই আয়াতুল ইসলাম। পরে শাশুড়িকে বিয়ে করে সংসার পাতেন তিনি। এ ঘটনায় আয়াতুলের বিরুদ্ধে মামলা করেন তার শ্বশুর মতি মিয়া। এ ঘটনাটি ঘটে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলায়।
২০১৩ সালে সেই মামলার বিচার শেষে রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায়ে জামাই আয়াতুলকে দেড় বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।
রায়ের পর থেকে পলাতক আয়াতুল। পুলিশ হন্যে হয়ে খুঁজেও তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি। শাশুড়িকে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করা আয়াতুলকে অবশেষে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়েছে পুলিশ।
রায় ঘোষণার প্রায় ১০ বছর পর রোববার (২৪ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার কৃষ্ণপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। মোহনগঞ্জ থানার এসআই মমতাজ উদ্দীনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে আয়াতুলের বয়স ৩৩ বছ
গ্রেফতার আয়াতুল ইসলাম মোহনগঞ্জ উপজেলার সমাজ-সহিলদ ইউনিয়নের মেদিপাথরখাটা গ্রামের শাহ জামালের ছেলে।
মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ ও এলাকাবাসী জানিয়েছেন, মোহনগঞ্জ উপজেলার মেদিপাথরখাটা গ্রামের মতি মিয়ার মেয়ে মরিয়মকে বিয়ে করেন একই গ্রামের জামালের ছেলে আয়াতুল ইসলাম। বিয়ের কিছুদিন পরই শাশুড়ি নাসরিনের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি।
একপর্যায়ে শাশুড়িকে নিয়ে ঘরছাড়া হন আয়াতুল। পালিয়ে সিলেটে গিয়ে তারা বিয়েও করেন। সেখানে কয়েক মাস সংসার করেন আয়াতুল ও নাসরিন। এ ঘটনায় আয়াতুলের শ্বশুর মতি মিয়া বাদী হয়ে মোহনগঞ্জ থানায় মামলা করেন। বিচার শেষে ২০১৩ সালে রায় হলেও পলাতক ছিলেন আসামি আয়াতুল।
এদিকে, এলাকাবাসী জানিয়েছেন, এ মামলার বাদী মতি মিয়া দেড় বছর আগে মারা গেছেন।
মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আয়াতুল একটি মামলায় দেড় বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তাকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশের একটি দল। সোমবার সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।’