পারিবারিক বিরোধের জেরে বাবার বাড়ি চলে গেছেন প্রথম স্ত্রী। ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেও হয়েছেন ব্যর্থ। এ অভিমানে নিজের কবর খনন করেন কাবিলা ফকির নামের এক যুবক। সেই কবরের ভেতরে প্রবেশের সময় এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যান।
সোমবার (২২ আগস্ট) ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ঈশ্বরকাঠি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। কাবিলা ওই গ্রামের রসূল ফকিরের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, ১৮ বছর আগে কাবিলা ফকির একই উপজেলার পাওতা গ্রামের দেনছের আলী হাওলাদারের মেয়ে আসমা বেগমকে বিয়ে করেন। কয়েক বছর পর আরও দুটি বিয়ে করেন কাবিল ফকির। পেশায় কাঠমিস্ত্রি হয়েও আসমাসহ তিন স্ত্রীকে নিয়েই বসবাস করে আসছিলেন তিনি।
কয়েক মাস আগে পারিবারিক বিরোধের জেরে প্রথম স্ত্রী আসমা সাড়ে তিন বছরের একমাত্র সন্তানকে নিয়ে বাবাবাড়ি চলে যান। তাকে কয়েকবার বাড়ি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেও কাবিলা ব্যর্থ হন। ব্যর্থতার হতাশায় নিজের কবর খনন করেন কাবিলা।
কবর খোঁড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে কাবিল বলেন, ‘ভালোবেসে আমি আসমাকে বিয়ে করেছি। আমার সাড়ে তিন বছরের একটি ছেলেও আছে। ওদের ছাড়া আমার জীবন বৃথা। ওদের না পেলে আমি কবরে বসেই মরবো।’
এ বিষয়ে ভৈরবপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম আবদুল হক জাগো নিউজকে বলেন, ‘কাবিল কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। দীর্ঘদিন ধরেই সে নানান রকম পাগলামি করে আসছে। তবে নিজের কবর খোঁড়ার খবর পেয়ে আমি ওর অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে পারিবারিকভাবে বিষয়টি সমাধানের জন্য বলেছি।’