পড়ার ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছিল ছোট্ট শিশু সঙ্গীতার (১০) নিথর দেহ। সেখান থেকে নামিয়ে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। বাবার সঙ্গে এক আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যাবে বলে খুব আশা নিয়ে সেজেগুজে বসে ছিল সে। কিন্তু তাকে না নিয়ে সেই অনুষ্ঠানে একাই চলে যান বাবা। সেই কষ্ট, ক্ষোভ আর অভিমানে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে শিশুটি!
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (২৮নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজারের পূর্বমাথা এলাকার ঋষিপাড়ায়। নিহত সঙ্গীতা ওই পাড়ার স্বপন ঋষি ও নমিতা দম্পতির মেয়ে। সে স্থানীয় ভাসানী কিন্ডার গার্টেন স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়তো।
মা নমিতার রানী জানান, তার স্বামী স্বপন ঋষি উপজেলার রাজাপুর এলাকায় দুপুরে তার এক আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার প্রস্তুতি নিলে মেয়েও বাবার সঙ্গে যাবে বলে বায়না ধরে। সেজন্য সে সেজেগুজে বসে ছিল। কিন্তু তাকে রেখেই ওর বাবা অনুষ্ঠানে চলে যান। এ কারণে ওর মনে যে ক্ষোভ তৈরী হয়েছে তা তারা বুঝতে পারেননি। কিছুক্ষণ পর পড়ার ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেচানো অবস্থায় ঝুলতে দেখেন মেয়েকে।
শরণখোলা উপজেলা স্বস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে চিকিৎসক ডা. আশফাক হোসেন জানান, শিশুটিকে হাসপাতালে আনার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।
শরণখোলা থানার ওসি মো. ইকরাম হোসেন বলেন, শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে আইনহত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।