।
ময়মনসিংহের পাশ্ববর্তী জেলা কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, আর বাবা ওই উপজেলার কৃষি বিভাগের নিবন্ধিত খুচরা সার বিক্রেতা। নিজ উপজেলার ধলাপাতা গ্রামে সারের গুদাম রয়েছে বলে নিবন্ধনপত্রে উল্লেখ রয়েছে। অথচ তিনি দিব্যি নান্দাইলের সুরাটি বাজারে দোকান খুলে ইউরিয়ার সার বিক্রি করছেন। বিষয়টি জেনেও অজ্ঞাত কারণে এড়িয়ে যাচ্ছেন দুই উপজেলার কৃষি অফিস। যার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তিনি কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার সিদলা ইউনিয়নের তারাপাশা গ্রামের মো.ফজলুল হক। তার ছেলে ওই উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এনায়েতুল ইসলাম রুবেল। নান্দাইল উপজেলার বিসিআইসির (বাংলাদেশ শিল্প রসায়ন সংস্থা) ডিলার মো. হেলাল উদ্দিন রবিবার দুপুরে এ বিষয়ে অভিযোগ তোলেন। হেলাল উদ্দিন বলেন, তিনি নান্দাইল উপজেলা জাহাঙ্গীপুর ইউনিয়নের ডিলার। পুরো ইউনিয়নের তার গুদাম ও খুচরা সার বিক্রির দোকান রয়েছে। এ বিষয়ে খোঁজ-খবর করতে গিয়ে নান্দাইলের সুরাটি বাজারে ফজলুল হকের দোকানটি খোলা পাওয়া যায়। তার দোকানের নাম ’হক বীজ ভাণ্ডার’। দোকানটিতে মূলত বীজ, বালাইনাশক (কীটনাশক) বিক্রি করা হয়। কিন্তু ফজলুল হক অনুমতি ছাড়াই দোকানে ইউরিয়া সার বিক্রি করছেন। কৃষি কার্যালয়ে যোগাযোগ করে জানা যায়, নান্দাইল উপজেলার কোনো বাজারে ইউরিয়া সার বিক্রির অনুমতি নেই ফজলুল হকের। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফজলুল হক বলেন, আমি বিভিন্ন কম্পানির বীজ ও কীটনাশক বিক্রি করেন। তবে কৃষকরা চান বলে সামান্য ইউরিয়া সার বিক্রি করছি। সারাদেশেই তো এভাবে বিক্রি হচ্ছে। তাতে আমার দোষ কী! হোসেনপুর উপজেলায় ইউরিয়া সার বিক্রির বৈধ অনুমতি রয়েছে আপনার। অথচ সেখানকার সার নান্দাইলে বিক্রি করছেন কেন,এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, দেশে তো সবই হচ্ছে। জানতে চাইলে হোসেনপুরের সিদলা ইউনিয়নের দায়িত্বে নিয়োজিত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তারিকুল হাসান বলেন, ঘটনাটি অবৈধ। ফজলুল হকের গুদাম আমাদের উপজেলায়। অথচ সার বিক্রি করছেন নান্দাইলে। বিষয়টি আমি বেশ কয়েকবার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। ব্যবস্থা না নিলে আমি কি করবো। এ বিষয়ে জানতে চাইলে হোসেনপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইমরুল খায়েস বলেন, বেশ কয়েকবার ওনাকে সর্তক করা হলেও কাজে আসছে না। এখন আবার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নান্দাইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.আনিসুজ্জামান বলেন, ইউরিয়া সার বিপণন বিধি অনুযায়ী এক উপজেলার জন্য বরাদ্দ করা সার অন্য উপজেলায় পাচার বা বিক্রি করা যায় না। এটা আইনত দণ্ডণীয় অপরাধ। এ ব্যপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।