প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা,কোনো জমি পতিত রাখা যাবেনা । তার এ কথা মাথায় রেখে এবং ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় শরণখোলার কৃষকদের মাঝে সরিষা চাষে আগ্রহ বাড়ছে। তাই তারা কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে দিনরাত মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের দিগন্তজোড়া মাঠে চোখ পড়তেই সবুজ গাছ ও হলুদ ফুলের সমারোহ যেনো মন কেঁড়ে নেয়। মাঠে সরিষা ফুলের মনোরম দৃশ্য দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। আবহাওয়া অনুকুলে থাকার কারনে এবছর সরিষার ফলন ভাল হয়েছে। তাইতো কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমন কম হওয়ায় সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে শরণখোলায় গত অর্থবছরে মাত্র ২২ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছিল। যেখানে লক্ষ মাত্রা ছিলো ২৫ হেক্টর । এবছর সেখানে ৬০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। যার ফলন খুব ভাল। উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের কৃষক তাইজুল ইসলাম সরদার,মহিউদ্দিন মুন্সিসহ অনেকে বলেন,প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা,কোনো জমি পতিত রাখা যাবেনা । তার সেই কথা এবং ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধির কারনে তারা নিজেদের জমিতে সরিষা চাষ করেছে। যাতে তেল আর কিনে খেতে না হয়। তবে,সরিষার ফলন ভাল হওয়ায় নিজেদের তেলের চাহিদা পূরন করে বাজারে বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন তারা।
এ বিষয়ে কৃষকদের উদ্ভুদ্ধ করতে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় উপজেলার খোন্তাকাটা বাজার সংলগ্ন মাঠে ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজস্ব খাতের অর্থায়নে স্থাপিত সরিষা প্রদর্শনীর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে । মাঠ দিবসে কোন্তাকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন,বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন,বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মোঃ মোতাহার হোসেন,শরণখোলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার,শরণখোলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার রিদয় হোসেন প্রমুখ । এসময় প্রধান অতিথি বলেন,প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে মানুষ চাষাবাদে আগ্রহী হচ্ছেন । আমরা বাজার থেকে যে সয়াবিন তেল কিনে খাই তা মুলত তেল না। এক জাতীয় রাসায়নিক। এই তেল খেয়েই আমরা স্ট্রকসহ নানান জটিল রোগে আক্রান্ত হই। তাই সুস্থ থাকতে সরিষা চাষ করতে হবে এবং রান্নায় সরিষার তেল খেতে হবে।