ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে সাগর নন্দিনী-২ নামে তেলবাহী জাহাজে আগুন লেগে দগ্ধ হয়েছেন ৪ জন। এ ঘটনায় এখনো ৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
শনিবার (১ জুলাই) দুপুর পৌনে ২টার দিকে হঠাৎ জাহাজে আগুন লেগে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ১৫ লাখ লিটার তেল ধারণ ক্ষমতার জাহাজটিতে ১১ লাখ লিটার পেট্রল ও ডিজেল ছিল। ঝালকাঠিতে কোনো নৌফায়ার স্টেশন নেই। ফলে জাহাজের কাছ থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণের প্রশিক্ষণ এবং দ্রুত ঘটনাস্থলে যাওয়ার সরঞ্জাম না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দেরি হয়েছে। জাহাজটি ৩ দিন আগে ঝালকাঠিতে চট্টগ্রাম থেকে পোট্রল ও ডিজেল নিয়ে আসে। কিন্তু কোরবানির ছুটির কারণে তা ডিপোতে সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি।
তাই শনিবার জাহাজ থেকে এই জ্বালানি ডিপোতে সরবরাহের কথা ছিল। এর আগেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস ঘটনা স্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। তাই বরিশাল ফায়ার সার্ভিসকে ডাকা হয়েছে। ঝালকাঠি ও বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট একসঙ্গে কাজ করা পর আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে।
ফায়র সার্ভিস সূত্র জানায়, বেশি কাছে গিয়ে জাহাজের আগুন নেভানো যাচ্ছে না। কারণ যেকোনো সময় এটি বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ছড়িয়ে জ্বালানি পানিতে মিশে যেতে পারে। তাই দূর থেকে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হয়। তবে আগুনের কারণে জাহাজের পেছনের কিছু অংশ (যেখানে স্টাফরা বসবাস করে এবং চালকের অবস্থান) বিস্ফোরিত হয়ে উড়ে যায়।
ঝালকাঠির সহকারী পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মো. মহিতুল ইসলাম জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও এখন পর্যন্ত ৫ জন নিখোঁজের খবর জানা গেছে। আরও কজন আহতকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
ঝালকাঠি পদ্মা ডিপোর ডিএস হোসেন আহম্মেদ জানান, এখন পর্যন্ত কোনো নিহতের খবর পাওয়া না গেলেও কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তবে জাহাজের ভেতরের পানি অপসারণের জন্য ফায়ার সার্ভিসকে বলা হয়েছে। যাতে জাহাজটি ডুবে না যায়।