ঝালকাঠির রাজাপুরের বড়ইয়া ইউনিয়নের আদাখোলা কমিউনিটি ক্লিনিকটি সঠিক নিয়মে খোলা রাখা হচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিনে গিয়ে রোববার দুপুর ১১ টা ৪৩ মিনিটে কমিউনিটি ক্লিনিকটি বন্ধ পাওয়া যায়। প্রায় আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করেও কাউকে পাওয়া যায়নি। উত্তোলন করা হয়নি জাতীয় পতাকাও। এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে শোকজ করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়েছে।
কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্বে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) মঞ্জুর আলমকে ফোন করলেও তা রিসিভ করেননি তিনি। এভাবে ক্লিনিকটি বন্ধ থাকায় একের পর এক রোগী এসে চিকিৎসা সেবা না পেয়ে ফিরে যায়। ফলে ওই এলাকার মানুষ কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে স্বস্থ্য সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন। এতে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্বে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) মঞ্জুর আলম ও স্বাস্থ্য সহকারি আবুল কালাম স্থানীয় হওয়ায় তাদের খেলায়খুশি মত আসেন এবং ক্লিনিক খুলেন। স্থানীয় হওয়ায় তারা কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রায়ই কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ রাখেন। এছাড়া সেবা নিতে আসা রোগীদের সাথেও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্বে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) মঞ্জুর আলম ও আবুল কালাম অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ব্যক্তিগত কাজে স্থানীয় একটি স্কুলে সভায় ছিলেন এজন্য আধাঘন্টারমত কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ ছিল। প্রায়ই সঠিক নিয়মমত কমিউনিটি ক্লিনিক খোলা রাখা হয় তবে মাঝে মাঝে একটু দেরিতে খোলা হয় তাও ব্যক্তিগত কাজের জন্য। রোগীদের ঠিকঠাক সেবা দেয়া হয় বলে দাবি করেন তারা।
এ বিষয়ে রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত টিএইচও ডা.মোঃ জাবের আল ছাঈদ জানান, অফিস টাইমে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ থাকার বিষয়টি জেনেছি। এ বিষয়ে তাদের শোকজ করা হবে এবং পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রেজওয়ানুল আলম রায়হান জানান, কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) মঞ্জুর আলম এর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। এর আগেও তাকে সতর্ক করা হয়েছে। তিনি কোনো কিছুর তোয়াক্কা করেন না। বর্তমানে আমি ছুটিতে আছি। আমার স্থানে যে দ্বায়িত্বে আছে তাকে বলেছি সিএইচসিপি মঞ্জুর আলম’কে শোকাজ করতে।