ঝালকাঠির রাজাপুরের বড়ইয়া ইউনিয়নের ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের মহিলা ইউপি সদস্য রুবিনা কর্তৃক ভাতকাঠি গ্রামের খেয়াঘাট এলাকায় ৫৫ হাজার টাকা ব্যায়ে বক্স কালভার্ট নিমার্নের এক সপ্তাহের মধ্যে তা ভেঙ্গে পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ফলে আশেপাশের কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ নানা পেশার মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিপাকে পড়েছে স্থানীয় কৃষকরা।
বড়ইয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন, স্থানীয় কবির হোসেন ও সোহরাপ সিকদার অভিযোগ করে বলেন , নামে মাত্র রড সিমেন্ট সামগ্রী দিয়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে পেশাদার নির্মান শ্রমিক না নিয়েই তার নিজের পিতা কবির হোসেন ও ব্যক্তিগত সহকারি সিদ্দিক’কে দিয়ে কালভার্টটি নির্মান করেছেন বড়ইয়া ইউনিয়নের ১,২,৩ নং ওয়ার্ড এর সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য রুবিনা। একটি রড থেকে ছয় টুকরো করে পাঁচ টুকরো কাজে লাগিয়ে এক টুকরো বাড়ী নিয়ে গেছে এবং ছয় ব্যাগ সিমেন্ট দিয়ে এই বক্স কালভার্ট নির্মান করা হয়েছে। পরিমানমত রড সিমেন্ট না দিয়ে বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎ করেছেন মহিলা ইউপি সদস্য রুবিনা। আগে ওই স্থানে মোটা প্লাস্টিকের পাইপ দিয়ে তার উপড়ে মাটি দিয়ে স্থানীয় লোকজন সহ হালচাষের গরু ও ট্রাক্টর যাতায়াত করতো। বর্তমানে নবনির্মিত কালভার্টটি ভেঙ্গে পানিতে তলিয়ে যাওয়ার ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছে কোমলমতি শিক্ষার্থী সহ এলাকাবাসী। বর্তমানে গরু ও ট্রাক্টর না নিতে পেরে প্রায় কয়েকশো একর জমি অনাবাদির শঙ্কা করছে কৃষকরা। বেশী ¯্রােত থাকায় ঐ স্থানে স্থানীয়রা কালভার্ট নির্মান করতে নিষেধ করলেও নারী ইউপি সদস্য রুবিনা তা আমলে না নিয়ে স্থানীয়দের সাথে খারাপ আচরন করেনবলেও অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। অপরিকল্পিত ভাবে অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে ব্যাক্তিস্বার্থ হাসিলের জন্য সরকারের টাকা এভাবে নষ্ট করায় ক্ষোভ স্থানীয় সহ সচেতন মহলের।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নারী ইউপি সদস্য রুবিনা সংবাদ না করার অনুরোধ করে জানান, বরাদ্দ কম হওয়ায় সেই টাকা দিয়ে বক্স কালভার্টটি নির্মান করার কারনে পানির ¯্রােতে তা ভেঙ্গে গেছে। আমরা পরিষদে সিদ্দান্ত নিয়েছি ঐ স্থানে আবারো পরিষদ থেকে টাকা বরাদ্দ দিয়ে নতুন করে কালভার্ট নির্মান করে দিবো।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মামুন অর রশিদ জানান, ভাতকাঠি খেয়াঘাট এলাকার বক্স কালভার্টটি ভেঙ্গে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। ওখানে পুনরায় বরাদ্দ দিয়ে নতুন কালভার্ট নির্মান করা হবে।