ঝালকাঠিতে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে ১৭জন নিহত হয়েছে। সদর উপজেলার ছত্রকান্দা এলাকায় ইউপি ভবনের সামনে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহতাবস্থায় বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিস এর তিন সদস্য আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। তাদেরকে বরিয়াল শের ই বাংলা মেডিকেলের কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাসটি পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া থেকে বরিশালের উদ্দেশ্য যাচ্ছিলো।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয়রা জানান, সকাল ৯ টার দিকে ভান্ডারিয়া থেকে অর্ধ শতাধিক যাত্রী নিয়ে বরিশালের দিকে যাচ্ছিলো একটি যাত্রীবাহী বাস। পথিমধ্যে সদর উপজেলার ছত্রকান্দা এলাকায় পৌছলে সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ইউপি ভবনের সামনের মোড় ঘুরতেই বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে যায়।
স্থানীয়রা দৌড়াদৌড়ি করে উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও থানা পুলিশের দল ঘটনাস্থলে পৌছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। এসময় ২৫ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হলেও এরমধ্যে ১৭জন যাত্রী নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধ ও নারীর সংখ্যাই বেশি। নিহতদের পরিচয় এখনও জানা যায় নি।
জেলা পুলিশের উদ্ধারযন্ত্র ঘটনাস্থলে পৌছে ফায়র সার্ভিস ও পুলিশ সদস্য সহ স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় আড়াই ঘন্টা চেষ্টার পরে উদ্ধার করেছে। ফায়ার সার্ভিস পুকুরের পানি সড়িয়ে ফেলার কাজ করছে।গাড়ীতে কি পরিমাণ যাত্রী আছে তা কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি। এ বিষয়ে জেলা প্রসাশনের পক্ষথেকে পাঁচ সদস্য’র কমিটি গঠন করা হয়েছে। পরিচয় শনাক্তকরে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের কাজ শুরু করেছে প্রসাশন।
এ ঘটনায় ঝালকাঠি ২ আসনের সংসদ সদস্য ও ১৪ দলের সমন্নয়ক আলহাজ আমির হোসেন আমু এক বার্তায় নিহতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে এবং শোক প্রকাশ করেছেন।
জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিজুম, জেলা পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
সদর থানার ওসি নাসির উদ্দিন সরকার জানান, যাত্রীবাহী বাসটি উল্টে পুকুরে পড়ে যাওয়ার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।