গার্মেন্টস খাতের হেলপার ৭ম গ্রেডের শ্রমিককে ৬৫ ভাগ মূল মজুরিসহ মোট মজুরি ২৩ হাজার টাকা ঘোষণার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য পরিষদ (বিজিডব্লিউইউসি)।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে এ দাবি জানান সংগঠনের নেতারা। মানববন্ধন শেষে বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তৌহিদুর রহমান ও মহাসচিব মো. বজলুর রহমান বাবলুর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল নিম্নতম মজুরি বোর্ড চেয়ারম্যানকে স্মারকলিপি পেশ করেন।
প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বর্তমান ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধির জাঁতাকলে শ্রমিক জীবন নিষ্পেষিত হচ্ছে। ক্রমাগত বিদ্যুৎ, পানি এবং গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির কারণে শিল্প এলাকায় অস্বাভাবিক বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে জীবন-জীবিকা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। বর্তমানে একজন শ্রমিক পরিবারকে সাধারণ হিসেবেই মাসিক জনপ্রতি ৪ হাজার টাকা খাদ্য বাবদ প্রয়োজন এবং ৪ জনের খাদ্য বাবদ ১৬ হাজার টাকা দরকার, বাড়িভাড়া বাবদ ১০ হাজার টাকা এবং সন্তানের পড়ালেখার ন্যূনতম খরচ ২ হাজার টাকা প্রয়োজন, চিকিৎসা খরচ ন্যূনতম ২ হাজার টাকা, যাতায়াত বাবদ ১ হাজার টাকা, বিনোদন ২ হাজার টাকা, খাদ্য বহির্ভূত খরচ ১ হাজার টাকাসহ ন্যূনতম সঞ্চয় ১ হাজার টাকাসহ মোট ৩৫ হাজার টাকা প্রয়োজন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে দেখতে পাচ্ছি যে সরকারি ২৪ গ্রেডের অদক্ষ কর্মচারী ক্লিনারের ন্যূনতম মজুরি ১৫ হাজার ৮৫০ টাকা এবং ব্যাংকিং খাতে ২০২২ সালে ২৪ হাজার টাকা ঘোষণা করে কার্যকর করা হয়েছে। গ্লোবাল লিভিং ওয়েজ কোয়ালিশন পোশাক খাতের জন্য ন্যূনতম মজুরি অনুমান করছে ২১ হাজার ৬৪৮ টাকা হওয়া দরকার। শ্রমিকদের ২০১৮ সালের মজুরি ৮ হাজার টাকা, বিগত ২০১৮ সালে ১ ডলার= ৮২ টাকা ছিল, সে হিসেবে তখন ৯৮ ডলার বেতন ছিল। ডলারের অবমূল্যায়নের কারণে বর্তমানে সরকারি রেট অনুযায়ী ১ ডলার= ১০৬ টাকা হিসেবে বর্তমানে ৭৫—৪৭ ডলার পায়।