পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার করমজা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় এবং জনগণ চাইলে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন তরুণ নেতা মেহেদী হাসান। স্বাধীন বাংলা ১৬.কমের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এরই মধ্যে তিনি প্রচার প্রচারণা সামাজিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।
নির্বাচনের আরও কয়েক মাস দেরি থাকলেও এরই মধ্যে প্রার্থিতা জানান দিচ্ছে অনেকেই। চলছে ঘরোয়া পরিবেশে প্রচার প্রচারণা। নিজ এলাকায় বিভিন্ন ধর্মীও সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেখা যাচ্ছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের। মেহেদী হাসান সাবেক সাঁথিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের শিক্ষা বিষয়ক পাঠ্যচক্র সম্পাদক এবং বর্তমান সাঁথিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কমান্ডের ১ নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক করমজা ইউনিয়ন পরিষদের পরপর চারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ আলী চতুর এর কনিষ্ঠ সন্তান। তিনি ছোটবেলা থেকেই সামাজিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত আছেন।
বিভিন্ন সময় এলাকার হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানো বিষয়টি চোখে পরবার মতো। করমজা ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ডের মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়,১৯৯৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর ইউনিয়ন নির্বাচনে মমতাজ আলী চতুর চেয়ারম্যান নিজ ইচ্ছায় নির্বাচনের দিন সকাল বেলা নির্বাচন থেকে সরে এসে বিদ্রোহী প্রতিদ্বন্দ্বী মোমবাতি প্রতীকের প্রার্থী শামসুর রহমানকে সমর্থন দেয়ার পর থেকে এই ইউনিয়নে সৎ ত্যাগী জনদরদী সমাজ সেবক প্রতিনিধি শূন্যতায় ভুগছে। এরপর যেই পরিষদে বসেছে তারাই নিজের ফায়দা লুটতে ব্যস্ত সময় পার করছে। মেহেদী হাসানও তার বাবার মতো সৎ ত্যাগী জনদরদী সমাজসেবক বিপদের বন্ধু হিসেবে পরিচিত। তিনি নির্বাচন করলে তার বাবার মতোই আমরা ইউনিয়নবাসী তাকে সমর্থন জানাবো। করমজা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামুকজানি গ্রামের সোলায়মান শাহরিয়ার জানান, করমজা ইউনিয়নের উত্তর দিকের চেয়ে আমাদের দক্ষিণে ভোটের সংখ্যা বেশি।
তাই আমরা মমতাজ আলী চতুর চেয়ারম্যান এর অবর্তমানে আমাদের দক্ষিণ এলাকা থেকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচন করে থাকি। মেহেদী হাসান যেহেতু সাবেক চেয়ারম্যান মমতাজ আলী চতুর এর ছেলে মানুষ হিসেবে আমরা যতটুকু জানি তিনি নির্বাচন করলে আমরা তার পাশে থেকে কাজ করে যাবো। করমজা ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সদস্য শামীম হোসেন বলেন, আধুনিক ইউনিয়ন গড়তে মমতাজ আলী চতুরের ছেলে মেহেদী হাসানের কোন বিকল্প নেই। আমরা তাকে নির্বাচনে আসতে স্বাগত জানাই। এবিষয়ে মেহেদী হাসান বলেন, শুধু দলীয় প্রতীক নয় জনগনের ভালোবাসা এবং সমর্থনও দরকার।জনগণ চাইলে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে রাজি আছি। আমার বাবা মরহুম মমতাজ আলী চতুর নিঃস্বার্থভাবে জনগণের সেবা করেই তিনি আত্মতৃপ্তি পেয়েছে। আমি চাই আমার বাবার চিন্তা চেতনাকে বুকে লালিত করে জনগণের পাশে থেকে সেবা করতে। দলীয় মনোনয়ন চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পাবনা-১ আসনের সাংসদ শামসুল হক টুকুর দীর্ঘায়ু কামনা করে দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন তিনি।