আল-এহ্সান ডেইরী ফার্ম মালিক মাহফুজুর রহমান লিটন মৃধার আয়ের একমাত্র অবলম্বন ফার্মের ৭ টি গরুর ৬ টি চুরি হয়ে যাওয়ায় সে পাগলপ্রায়। সে নিজের সকল পূজি ব্যয় করে নিজে ফার্মে দিন রাত পরিশ্রম করে পরিচর্যা করে আসছিলেন। চুরি হয়ে যাওয়া ৬ টি গরুর ৩ টি কালো ফাকরা গাভী, ২ টি কালো ফাকরা বাছুর, আর ১ টি বড় খয়েরী গাভী ছিল। পরিতাপের বিষয় ওই ৬ টি গাভীর ২ টি গর্ভবতী ছিলো আর ২ টি দুগ্ধ গাভী ছিলো। বাকী ২ টি ছিল বাছুর তাও বিশালাকার ।
কান্নাভেজা কন্ঠে লিটন মৃধা বলেন আমি রাত ১ টা পর্যন্ত ফার্মে কাজ করেছি। যখন কাজ করে যাই তখন আমি ৭ টি গরু শক্ত করে বেধে দরজায় তালা লাগিয়ে যাই। দুর্বৃত্তরা যে গরুটি চুরি করতে পারেনি সেটি কিছুটা হিংস্র প্রকৃতির। তারপর সেই গাভীরও দড়ি কাটার চেষ্টা করা হয়েছে। তার ধারণা চোরেরা গরুগুলোকে ট্রাকে করে ঝালকাঠির দিকে চলে যায় ।
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে সর্বস্বান্ত করার জন্য পরিকল্পিতভাবে গাভী গুলো চুরি করা হয়েছে বলে তার ধারণা। চুরি হয়ে যাওয়া ৬ টি গরুর আনুমানিক মূল্য ১৫ লাখ টাকা। এদিকে কিছুদিন পূর্বে পৌর শহরের ২ নং ওয়ার্ডের মনিরুজ্জামান লালের বিশালাকৃতির দুটি গাভী ও উপজেলার সদর ইউনিয়নের জম্বদ্বীপ গ্রামের কৃষক ইয়ার হোসেনের একটি ষাঁড় গরু রাতে আঁধারে চুরি হয়ে যায়। মুক্তি যুদ্ধের চেতনায় সত্য প্রকাশে স্বাধীন।
এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকটি গরু চুরি খবর পাওয়া গেছে। সংঘবদ্ধ একটি চক্র এসব গরু চুরির সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে জানা গেছে। এক এলাকার গরু চুরি করে দূর পথের অন্য এলাকায় বিক্রি করায় এরা ধরাছোয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। চুরি করা সিংহভাগ গরু নৌ-পথে ট্রলারে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন বলেন সংঘবদ্ধ এ চক্রটিকে চিহিৃত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।