তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরা তালায় গীতা সেন(৫৫) নামে এক মহিলাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করেছে ঠাকুর দাশ সেন গংরা। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (১৯আগষ্ট) সকালে উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের মুড়াগাছা গ্রামে পরামানিক পাড়ায় । গীতা সেন বর্তমানে তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।সে মুড়াগাছা গ্রামের পরামানিক পাড়ার ভোলা সেনের স্ত্রী।
ঘটনার খবর পেয়ে তালা হাসপাতাল গেলে গুরুত্বর আহত গীতা সেন এপ্রতিনিধিকে জানান, ঘর তৈরী করার জন্য তার স্বামী রড কিনে এনে বাড়ীর সামনে রাস্তার উপর রাখেন।রাস্তার উপর রড রাখাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে একই পাড়ার নিতাই দাশ সেনের ছেলে ঠাকুর দাশ সেন(৫০),সতিশ দাশের দুই ছেলে কার্ত্তিক সেন(৫৫)ও মৃত্যুঞ্জয় সেন ওরফে একান্নসেন(৫৫) বাড়ীর ভিতরে প্রবেশ করে অশ্লীল ভাষায় গালগাল করতে থাকে।
এসময় গীতাসেন তাদেরকে বাড়ীর বাইরে যেতে বলার সাথে সাথে পাশে থাকার লোহার রড দিয়ে বেধড়ক পিটাতে থাকে।লোহার রডের একটি আঘাত গীতা সেনের কপালে লাগলে সে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।এসময় তাকে উদ্ধার করতে তার স্বামী সন্তানরা এগিয়ে আসলে তাদের কেও বেধড়ক পিটাতে থাকে।তাদের ডাকচিৎকারে স্থানীয় এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়।পরে স্থানীয়রা গুরুত্বও জখম গীতাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।বর্তমানে সে তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
এবিষয়ে তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ মনীষা ঢালী এপ্রতিনিধিকে জানান,গীতাসেনের কপালে শক্ত কোন বস্তুর আঘাতের কারণে গভীর ক্ষত হয়ে ফেটে গেছে । সেখানে দুইটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তালা থানার ওসি মেহেদী রাসেল এপ্রতিনিধিকে জানান, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন।তবে এবিষয়ে থানায় কেও কোন অভিযোগ করেনি।অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।