পটুয়াখালীর গলাচিপায় এক গৃহবধুকে মারধর করে গুরুতর জখম করেছেন তার ভাশুর (স্বামীর বড় ভাই) ও ভাশুরের ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকালে উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের ছোট গাবুয়া গ্রামে। আহত গৃহবধু ছালমা বেগম (৩৫) হলেন ওই গ্রামের জলিল ফকিরের স্ত্রী।
আর হামলাকারীরা হলেন একই বাড়ির মৃত ছয়জদ্দিন ফকিরের ছেলে মো. হাবিব ফকির (৫৫) ও তার ছেলে মো. কবির ফকির (৩০)। এলাকাবাসী উদ্ধার করে ওই গৃহবধুকে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আহত গৃহবধু ছালমা বেগম জানান, মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে আমার স্বামীর বড় ভাই হাবিব ফকির ও তার ছেলে কবির ফকির দুই জনে মিলে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে চড়াও হয়ে তাদের হাতে থাকা লাঠি দিয়ে আমাকে এলোপাথারীভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এতে আমার বাম কানের গোড়ালী ফেটে যায়। আমাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে মাটিতে ফেলে দিলে আমার ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এসে পড়লে মারধরকারীরা পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী আমাকে উদ্ধার করে গলাচিপা হাসপাতালে ভর্তি করে।
গৃহবধু আরও জানান তার স্বামীর গাছ বিক্রি করায় বাধা প্রদান করেন তার ভাশুর। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই পিতা পুত্র মিলে তাকে পরিকল্পিতভাবে মারধর করেছেন। এ বিষয়ে গৃহবধুর স্বামী জলিল ফকির বলেন, ওই সময় আমি ক্ষেতের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। পরে মানুষের ডাকাডাকিতে বাড়ি এসে দেখি আমার স্ত্রীকে বড় ভাই ও তার ছেলে বেধম মারধর করেছে।
এবিষয় নিয়ে হাবিব ফকিরের কাছে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। ইউপি সদস্য মনির হাওলাদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি দেখব। এবিষয় নিয়ে গলাচিপা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গৃহবধু ছালমা বেগম বাদী হয়ে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন বলে তিনি জানান।