November 24, 2024, 12:05 am
শিরোনাম:
শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক হিসেবে জাতীয় যুব পুরস্কার পেয়েছেন কক্সবাজারের নুরুল আফসার শিকদার মনোহরদীতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন মনোহরদীতে দিনব্যাপী পাট চাষী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত মনোহরদীতে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রকে বেধরক মারধরের অভিযোগ মনোহরদীতে জনমত জরিপ ও প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদ সরকার মনোহরদীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী “আলোকিত গোতাশিয়া” ফেসবুক গ্রুপের পক্ষহতে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে অসহায়দের মাঝে শিল্পমন্ত্রীর ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে বালু উত্তোলনের দায়ে খননযন্ত্র ও বালুর স্তুপ জব্দ এতিম শিশুদের নিয়ে ইফতার করলেন মনোহরদীর ইউএনও হাছিবা খান

সন্তানের ঘটানো শ্লীলতাহানি ঢাকতে মাদ্রাসা পরিচালকের বিরুদ্ধে কুরুচিপুর্ণ অভিযোগ বাবার।

ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধিঃ
  • আপডেটের সময় : শনিবার, অক্টোবর ২৪, ২০২০
  • 319 দেখুন

রাজাপুর উপজেলার নারিকেল বাড়িয়া গ্রামের স্থানীয় মুরব্বিদের অনুরোধে এবং প্রয়োজনের ভিত্তিতে ২০১২ সালে কোরআন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান “নুরুল ইসলামিয়া দ্বিনীয়া হাফেজি মাদ্রাসা” গড়ে তোলেন হাফেজ মাওলানা মোঃ রহমাতুল্লাহ নেছারী। মাদ্রাসাটির সাফল্য ও অগ্রগতি দেখে এক শ্রেণির লোকের গাত্রদাহ শুরু হয়। কোন ভাবেই রহমাতুল্লাহকে হেয়প্রতিপন্ন করতে না পেরে একটি মহল মেতে উঠে ঘৃনিত খেলায়। পরিচালক রহমাতুল্লাহর শিশু কন্যার শ্লীলতাহানি ঘটায় তারই মাদ্রাসার ছাত্র রায়হান।

রায়হান পার্শবর্তী শুক্তাগড় এলাকার শাহ আলমের ছেলে।এই ঘটনা থেকে বাচঁতে রায়হানের পরিবার উল্টে কুরুচিপুর্ণ মন্তব্য করে বিভিন্ন মহলে অপপ্রচার শুরু করে পরিচালকের বিরুদ্ধে।মাদ্রাসা সুত্রে যানাযায়, রায়হানকে মাদ্রাসায় ভর্তি করতে সুপারিশ করে স্থানীয় কাশেম মল্লিক।রায়হানের অপরাধের জন্য তাকে মাদ্রাসা থেকে বের করে দেওয়াতে কাশেম মল্লিক ক্ষিপ্তহয়ে এ কান্ড করে বেড়াচ্ছে।

মাদ্রাসার ছাত্ররা জানায়, গত ১৫ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) দুপুরে রায়হান নামের এক ছাত্র হুজুরের ঘরের মাচায় ওঠে। মাচায় হুজুরের মেয়ে খেলতে ছিলো, কিছুক্ষণ পরে হঠাৎ মেয়ের চিৎকারের শব্দ আসে। হুজুরের মা মাচায় ওঠে দুটোকেই অশালীন অবস্থায় দেখতে পায়। তখন হুজুরের মা তার নাতনিকে নিয়ে নীচে নামেন। হুজুরে ঘরে এলে তাকে শ্লীলতাহানী চেষ্টার কথা বললে মান ইজ্জতের ভয়ে কাউকে কিছু না জানিয়ে ছাত্রটিকে তার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পরেরদিন সকালে রায়হানের মায়ের কাছে বিষয়টি বিস্তারিত জানাতে গেলে হুজুরের মা’কে গালমন্দ করে এবং বটি নিয়ে কোপাতে উদ্দত হলে রায়হানের বাড়ী থেকে চলে আসেন হুজুরের মা।

পরিচালক হাফেজ মাওলানা মো. রহমাতুল্লাহ জানান, ঘরে গিয়ে মায়ের কাছ থেকে বিষয়টি বিস্তারিত জানলে কয়েকজন গন্যমান্য ব্যক্তির সাথে আলাপ করে ওই ছাত্রকে মাদ্রাসায় না রাখার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। তাঁদের নিয়ে মাদ্রাসার পাওনাদি পরিশোধ এবং স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়ে বাস্তবায়ন করা হয়।এর কয়েকদিন পের রায়হানকে নিয়ে তার পিতা শাহ-আলম বরিশাল শেরই বাংলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে এবং আমার বিরুদ্ধে কুরুচিপুর্ণ ও অনৈতিক অভিযোগের তীর ছুড়ে যা আদৌ সত্য না।

ছাত্রদের অভিভাবক শাহআলম, কাওছার, শাহজাদা, হেলালসহ এলাকাবাসী জানান, রায়হানের পিতা শাহ আলমের বাড়ি পার্শ¦বর্তি শুক্তাগড় গ্রামে। তার ছেলেকে এখান থেকে নাম কাটার পরে প্রতিষ্ঠান কিভাবে চালায় তা দেখতে বিভিন্ন ধরনের কথা বলছিলো। এরপর শুনি শাহ আলমের ছেলে রায়হান বরিশাল হাসপাতালে ভর্তি আর হুজুরের নামে কুরুচিপূর্ন কথা রটানো হচ্ছে। আমরা এসব বিশ্বাস করি না। ২০১২ সাল থেকে মাদ্রাসা চলছে। শতশত ছাত্র এখানে শিক্ষা গ্রহণ করতেছে।এতো দিনে কোন অভিযোগ উঠলোনা, যখন রায়হানের নাম কাটলো তারপরের দিনই যত অভিযোগ আর মিথ্যা কথা। হুজুরের বিরুদ্ধে আনিত এসব মিথ্যা অপবাদের বিচার চাই আমরা।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. কুদ্দুস হোসেন জানান, আমাদের গ্রামের হাফেজী মাদ্রাসাটি এলাকাবাসীর গর্ব। মাদ্রাসাটি ধ্বংসের গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা কল্পকাহিনী সাজিয়ে রটিয়ে বেড়াচ্ছে।

শুক্তাগড় ইউপি সদস্য নূরে আলম মল্লিক জানান,কিছু দিন আগে রায়হানের বাবা শাহ আলম জানায় আমার ছেলেকে ঐ মাদ্রাসায় রাখবো না,মাদ্রাসায় ছেলের খাওয়া বাবদ কিছু টাকা জমা রয়েছে সেই টাকা গুলো আমায় এনে দেন।এরপরে উভয়পক্ষ বসে এবং আমায় সেখানে ডাকে।সেখানে মাদ্রাসার পরিচালকের সাথে রায়হানের বাবার লেনদেন শেষ হয়ে যায় এবং হুজুরের বিরুদ্ধে কোনো প্রকারের অভিযোগ ছিলোনা শাহ আলমের।এর কিছু দিন পরে হুজুরের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে মাদ্রাসায় এধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি।মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ রাহমাতুল্লাহ ভালো মানুষ। তিনি মসজিদের ইমাম, মাদ্রাসার পরিচালক, ওয়াজিন। তাকে নিয়ে কুরুচিপুর্ণ অশালীন এমন বাজে মন্তব্য করা কারোই ঠিক না।

এ ব্যাপারে রায়হানের পিতা শাহ্ আলমের সাথে বাড়িতে গিয়ে তার ছেলের সাথে সাক্ষাতে কথা বলতে চাইলে তিনি কোন কথা বলতে দেননি এবং চিকিৎসা পত্রের কাগজ দেখতে চাইলে তিনি হাসতে হাসতে বলে এসব ব্যাপারে কথা বলা ও কাগজপত্র দেখাতে নিষেধ আছে তাই দেখাতে পারব না।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর

https://bd24news.com © All rights reserved © 2022

Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102