পটুয়াখালীর গলাচিপা যৌতুকের দাবিতে মোসা. হামিদা বেগম (২৫) নামের এক গৃহবধু মারধরের শিকার হয়েছে। এতে গৃহবধুর শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতে চিহ্ন আছে। হামিদার মামা তাকে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা করাচ্ছেন।
জানা গেছে, কয়েক বছর আগে গোলখালী ইউনিয়নের মো. দলিল উদ্দিন মোল্লার মেয়ে মোসা. হামিদা বেগমের সাথে কলাপাড়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে রহমত এলাকার মো. আপ্তের আলী হাওলাদারের ছেলে মো. আবুল কালাম আজাদ (৩৮) এর সাথে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ হয়।
তাদের দাম্পত্য জীবনে একটি কন্য সন্তান জন্মগ্রহণ করে। তার বয়স ২ বছর। নাম মোসা. কারিমা। বিবাহের পর থেকে বিভিন্ন সময় মোসা. হামিদা বেগমকে যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে। হামিদা বেগম জানান, যৌতুকের দাবী শ্বশুড় বাড়ির লোকজন নির্যাতন করে আসছে।
শুক্রবার গভীর রাতে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় তাকে মারধর করে গুরুতর আহত করে। এতে অসুস্থ হয়ে পড়লে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে তার বাবাকে ফোন করে জানায়। হামিদার বাবা তাকে শনিবার সকালে তাকে গলাচিপা নিয়ে এসে গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে হামিদা বেগমের মা মোসা. রিজিয়া বেগম বলেন, আমার মেয়েকে যৌতুকের জন্য আমার মেয়ের স্বামী মো. আবুল কালাম আজাদ প্রায়ই মারধর করত। আমার মেয়ের জামাইকে এ পর্যন্ত যৌতুকের জন্য প্রায় ৩ লাখ টাকার বেশি দেওয়া হয়েছে। তারপরও আমার মেয়েকে ও শান্তি দিচ্ছে না। অত্যাচার করেই যাচ্ছে। হামিদা বেগমের বাবা দলিল উদ্দিন মোল্লা বলেন, আমরা গরিব মানুষ আমার মেয়েটাকে পড়ালেখা করিয়েছি। আমার মেয়ের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে ফুসলিয়ে বিবাহ করে আজ আমার মেয়েকে দিন দিন নির্যাতন করেই যাচ্ছে।
এখন আমার মেয়ের জামাই আবুল কালাম আজাদ মুঠো ফোনে ফোন করে বলে আমার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে দেশ ছাড়া করবে। এ বিষয়ে গোলখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। এর ন্যায় বিচার হওয়া উচিত।
এ বিষয়ে মোসা. হামিদা বেগম গলাচিপা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় মামলা করবেন বলে জানান।